নিবন্ধন পাচ্ছে নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ‘তৃণমূল বিএনপি’ নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। এ নিবন্ধন শিগগিরই দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। দলটির প্রতীক হবে সোনালি আঁশ। উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে এ দলটি নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।

মো. আলমগীর আরও বলেন, আপিল বিভাগ থেকে দলটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। ইসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে নিবন্ধন দেয়ার জন্য। যেহেতু সর্বোচ্চ আদালত থেকে নিবন্ধন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেহেতু ইসি নিবন্ধন দিতে বাধ্য। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপটে যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে নিবন্ধন দেয়া হবে। একই ধরনের নামে একাধিক দল কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, না, দল তো দুটো। এছাড়া আরও অনেক দল আছে এ রকম। যেমন জাসদ।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, আদালত তৃণমূল বিএনপির প্রতীকও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাদের প্রতীক হবে সোনালি আঁশ। আদালতের নির্দেশের পর এর মাঠের হিসাব দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। আবার আদালতের নির্দেশনা মানতেও ইসি বাধ্য। আদালতের নির্দেশের পর এখানে যাচাই করার কোনো প্রয়োজন নেই। আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ইসিতে নতুন দলগুলোর নিবন্ধনে আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। পাঁচটি দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। দুটি দল আবেদন তুলে নিয়েছে। তিনি জানান, অনেক দল পরিপূর্ণ তথ্য না দেয়ায় তাদের তথ্য জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। রোববার পর্যালোচনা বৈঠকের পর মাঠ পর্যায়ে দলগুলোর কার্যালয়, কমিটি আছে কি না-এসব খতিয়ে দেখা হবে। এতে যেসব দল অনুত্তীর্ণ হবে, সেগুলো নিবন্ধন পাবে না। অর্থাৎ প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। নতুন দল গঠন করে নিবন্ধন পেতে জামায়াত নেতারা আবেদন করেছেন-এ প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, অথবা যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের তো সংবিধান, নীতিমালা এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, তবে হাইপোথেটিক্যাল (অনুমাননির্ভর) কিছুই বলা যাবে না। সবকিছু আমাদের আইনের ভেতরে থেকে বলতে হবে। আমাদের বলতে হবে সংবিধানবিরোধী কিছু থাকলে; আমাদের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিষেধ আছে, সেগুলো যদি থাকে; আদালতের যে পর্যবেক্ষণ আছে, বিশেষ করে জামায়াতের বিষয়ে যে পর্যবেক্ষণগুলো আদালত দিয়েছেন, সেগুলো তো বিবেচনায় নিতে হবে। বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে তো দেয়া যাবে না। সংবিধান, আরপিওর শর্ত ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের আলোকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তি এলে তা আমলে নেয়া হবে। আর আপত্তি না থাকলে তো বিদ্যমান সীমানা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। এজন্য আমরা কোথাও হাত দিচ্ছি না। যেটা এখন যেভাবে আছে, সেটাই খসড়া হিসাবে প্রকাশ করব। এরপর শুনানিতে যেটা যৌক্তিক হবে, সেটাই সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাই না।

Comments (0)
Add Comment