পণ্যের অসহনীয় দামে ক্রেতার নাভিশ্বাস : বাজারে অসাধু চক্রের থাবা

জীবনযাপনে মানুষকে আপস করতে হচ্ছে দৈনন্দিন চাহিদার সঙ্গে

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা শুরুর পর থেকে গত দুই বছরে মানুষের জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় সব পণ্য ও সেবার দাম আকাশচুম্বী। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি, চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে লাগামহীন। বেড়েছে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে অস্থির করে তুলেছে। এছাড়া কর আরোপের ফলে বেড়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবার ব্যয়। সে তুলনায় আয় বাড়েনি। উলটো কিছু ক্ষেত্রে আয় কমেছে। জীবনযাপনে মানুষকে আপস করতে হচ্ছে দৈনন্দিন চাহিদার সঙ্গে। সাধ, আহ্লাদ বা আবশ্যক এমন অনেক কিছু বাদ দিতে হচ্ছে। কারণ বাঁধা আয়ে সংসার প্রায় অচল, আর যেন চলছে না। চাহিদা মেটাতে আয়ও বাড়ানো যাচ্ছে না। অনেকের সঞ্চয়ে টান পড়েছে। আগের সঞ্চয় ভেঙে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এর প্রভাবে ব্যাংকে সঞ্চয় কমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চাহিদা ও জোগানে ভারসাম্যহীনতা, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কঠোর তদারকি ও জবাবদিহিতা না থাকায় বছরজুড়ে পুরনো সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে। এ অবস্থায় বাজারে পণ্য কিনতে এসে ভোক্তারা চোরাবালিতে পড়ছেন। বিভিন্ন সময়ে সরকারের একাধিক সংস্থা ওই সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। যে কারণে তারা নানা উৎসবসহ মৌসুম ধরে একাধিক পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করেছে। জানা গেছে, সরকারিভাবে জীবনযাত্রার ব্যয়ের হিসাব করা হয় মূল্যস্ফীতির হার দিয়ে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় গত জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। বিবিএসের হিসাবে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (২০২১ সালের জানুয়ারির তুলনায় গত জানুয়ারি) ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কিন্তু সানেমের হিসাবে এই হার ১২ শতাংশের বেশি। শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি এখন ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং গ্রামে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, করোনার প্রভাব ও অন্যান্য কারণে গত দুই বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একই সময়ে চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। তাদের হিসাবে অন্যান্য খাতেও মানুষের আয় বেড়েছে। দেশে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি খাতে, ৯৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে। সরকারি খাতের কর্মীদের আয় সামান্য বাড়লে বেসরকারি খাতে বাড়েনি। বরং কমেছে। এর মধ্যে এসেছে মূল্যস্ফীতির আঘাত। এদিকে বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার হিসাবে দেখা যায়, করোনার কারণে গত দুই বছরে মানুষের আয় কমেছে। এতে আড়াই কোটি লোক নতুন করে দারিদ্র্যের আওতায় নাম লিখিয়েছিল। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের ফলে কিছু মানুষ নতুন দারিদ্র্যের আওতা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখনো ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়ে গেছে।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথ জরিপে বলা হয়, করোনার দুই ধাপে মানুষের আয় কমেছে। যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা সবাই আগের বেতনে চাকরিতে যেতে পারেননি। কম বেতনে গেছেন অনেকে। মানুষের খাদ্য বাজেটও কমেছে। ৩৭ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিবিএসের এক জরিপে বলা হয়, করোনার প্রভাবে দেশে পরিবারপ্রতি গড়ে ৪ হাজার টাকা করে আয় কমেছে। ফলে খাবার গ্রহণের হারও কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, হঠাৎ করে পণ্য বা সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়ার নজির আছে ভূরি ভূরি। কিন্তু হঠাৎ করে আয় বাড়ানো যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে স্বল্প বা মধ্যম আয়ের মানুষকে প্রথমে ব্যয় কমাতে হয়। এতে চাহিদার অনেক কিছু কাটছাঁট হয়ে যায়। তাতে কাজ না হলে সঞ্চয় করা কমিয়ে দেয়। তাতেও সম্ভব না হলে আগের সঞ্চয় ভাঙতে শুরু করে। তিনটি খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চাহিদার মধ্যে খাদ্যে কাটছাঁট করলে পুষ্টির হার কমে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। ভোগ কমিয়ে ফেলায় কোম্পানিগুলো পণ্য বিক্রি করতে পারে না। ফলে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সঞ্চয় কমে গেলে অর্থের জোগান কমে যায়। এমনিতেই চাহিদার চেয়ে সঞ্চয় কম। এটি কমলে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। বিবিএসের হিসাবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জীবনযাপনের জন্য ২৭৬ টাকা ১৬ পয়সা খরচ করে মানুষ যে পণ্য ও সেবা কিনেছে গত জানুয়ারিতে একই পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ৩০৭ টাকা ২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ওই সূচকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৩০ টাকা ৮৬ পয়সা। বৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপকরণের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ।
মিনিকেট বা নাজিরশাইল চালের দাম ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতি কেজি ছিল ৬২ টাকা। গত জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৬৯ টাকা। দুই বছরে বেড়েছে ৭ টাকা, বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে পাইজাম চালের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৩ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ৩ টাকা, বৃদ্ধির হার সাড়ে ৫ শতাংশ। আটা ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা হয়েছে। বৃদ্ধির হার সাড়ে ৫ শতাংশ। চিনি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ২৫ টাকা, বৃদ্ধির হার ৪২ শতাংশ। ডিমের হালি ৩৪ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ৪ টাকা, বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ। সয়াবিন তেল ৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ৬২ টাকা, বৃদ্ধির হার ৬৩ শতাংশ। বিবিএসের হিসাবে ওই হারে পণ্যমূল্য বাড়লেও বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। বেড়েছে আরও বেশি। গত জানুয়ারিতেই সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটার দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা । এখন ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের ৩ নভেম্বরে জ্বালানি তেলের (ডিজেল ও কেরোসিন) দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানো হলে এর প্রভাবে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। গণপরিবহণের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো হলেও বাস্তবে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ। এর সঙ্গে বেড়েছে পানি ও এলপি গ্যাসের দাম। ভর মৌসুমেও চাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। মানুষের জীবনযাত্রার বড় অংশই ব্যয় করে খাদ্যের জন্য। মধ্যম আয়ের পরিবার খাদ্যের জন্য ব্যয় করে ৫৮ শতাংশ, খাদ্য বহির্ভূত পণ্য ও সেবায় ৪২ শতাংশ। স্বল্প আয়ের পরিবার খাদ্যের জন্য ৬২ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবায় ৩৫ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষ খাদ্যের পেছনে ব্যয় করে ৭০ শতাংশ অর্থ। খাদ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় চালের। এর পরেই রয়েছে শাকসবজি, মাছ, মাংস, ভোজ্যতেল। এ কারণে এসব খাদ্য পণ্যের দাম বেশি বাড়লে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেশি মাত্রায় বেড়ে যায়। গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি খরচ বেড়েছে পরিবহণ খাতে। এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির হার ২৭ শতাংশ। গৃহসামগ্রী খাতে ১২ শতাংশের বেশি, বাসাভাড়া ও বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৪ শতাংশ, কাপড় ও জুতা কিনতে প্রায় ১১ শতাংশ, চিকিৎসা খাতে প্রায় ৯ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সরকারি হিসাবের চেয়ে বেসরকারি হিসাবে সব খাতেই ব্যয় বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে উচ্চ রক্তচাপের যে ওষুধ ৩০ ট্যাবলেট ২৮০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ৩৬০ টাকা। পেটের গ্যাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ওষুধের প্রতি ট্যাবলেট ছিল ৫ টাকা, এখন তা ৭ টাকা। এভাবে প্রায় সব ওষুধের ও চিকিৎসাসেবার মূল্য বেড়েছে। চাল, ডালসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দামও বেড়েছে সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি। এদিকে সরকারি হিসাবে আয় বেড়েছে। বেসরকারি হিসাবে গত দুই বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের আয় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের আয় কমেছে। নতুন কাজের সংস্থান হয়েছে খবুই কম। বরং চাকরিচ্যুতির হার বেড়েছে। এসব মিলে আয় বাড়ার চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়েছে। এতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, কমেছে টাকার মান, যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছে। এতে ভোগের হারও কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জাতীয় উৎপাদনে। এতে সার্বিকভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। বিবিএসের হিসাবে ২০১৯ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বেতন ভাতা বেড়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছরের জানুয়ারিতে বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বিভাগওয়ারি হিসাবে গড়ে জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি বেতন ভাতার সূচক বেড়েছে রংপুর বিভাগে ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ঢাকায় বেড়েছে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বরিশালে ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, খুলনায় ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বিবিএসের হিসাবের সঙ্গে অনেকেই একমত হতে পারছে না। করোনার কারণে বেতন না বেড়ে বরং কমেছে। শ্রম শক্তির প্রায় ৩ কোটি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। করোনার লকডাউনের সময় এরা নিয়মিত কাজ পায়নি। এদের আয় কমেছে। এর মধ্যে বস্তিবাসীদের আয় কমেছে ১৮ শতাংশ। উন্নত দেশগুলোর মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ী প্রবণতা কম। কেননা তাদের জীবিকা নির্বাহে সরকার বড় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে সেটি নেই। যে কারণে ব্যক্তিকেই জীবিকার পথ খুঁজে নিতে হয়। এদেশের মানুষ মধ্যবিত্তের প্রায় সবাই দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করে একটি অংশ সঞ্চয় করে। প্রয়োজনে জীবনযাত্রার মানে কাটছাঁট করেও সঞ্চয়মুখী হয়। কিন্তু সেই সঞ্চয়ে এখন ভাটার টান পড়েছে। কমে যাচ্ছে ব্যাংকে সঞ্চয়। গত অর্থবছরের জুলাই জানুয়ারিতে ব্যাংকে আমানত বেড়েছিল ৪৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বৃদ্ধির হার কমেছে ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে স্বল্প ও মধ্য আয়ের একটি বড় অংশ ব্যাংকে বিভিন্ন কিস্তিভিত্তিক প্রকল্পে সঞ্চয় করেন। সেই মেয়াদি আমানত গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিলো ২৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে বৃদ্ধির হার কমেছে ৪৩ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে চলতি আমানতও। এ হিসাবে টাকা রেখে চলমান ব্যয় মেটানো হয়। বিশেষ করে ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো এ হিসাবে টাকা রাখে। এ আমানত গত অর্থবছরের জুলাই জানুয়ারিতে বেড়েছে ২২৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমেছে ১১৭ শতাংশ। অর্থাৎ মানুষ খরচ মেটানোর জন্যও এখন ব্যাংকে টাকা রাখছে না। খরচ করে ফেলছে। যে কারণে এ টাকা কমছে। মানুষ প্রয়োজনে টাকা তুলে হাতে রাখে। সাধারণ সময়ে টাকা হাতে রাখার হার কম। অস্বাভাবিক সময়ে বেশি থাকে। এখন হাতে টাকা রাখার প্রবণতা বেড়েছে। মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হাতে রাখছে। মধ্য আয়ের মানুষের সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্র কেনার আগ্রহ বেশি। যে কারণে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়। কিন্তু গত সাত মাসে এ খাতে বিনিয়োগ কমে গেছে। এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করছে কম। গত অর্থবছরের জুলাই জানুয়ারিতে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ২৫ হাজার ৭০২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে বিক্রি কমেছে প্রায় অর্ধেক।

Comments (0)
Add Comment