মাগুরায় দুই পুলিশের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের বেড়াজাল

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাগুরার শ্রীপুরে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তার ও জেলা পুলিশ লাইনসে তার সাবেক দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি। এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানা ও শ্রীপুর থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাবণী ও মাহমুদুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি ডিজিটাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে। যেখানে কললিস্ট চেক করে দেখা হবে। লাবণী আক্তারের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে থাকা মাগুরার শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা যাবে না।’ অন্যদিকে, মাগুরা পুলিশ লাইনসে ‘আত্মহত্যাকারী’ পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাগুরা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’ মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, আগামী সপ্তাহে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনেকটা বোঝা যাবে মামলা কোনদিকে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আক্তারের বাবা-মা বারবারই বলার চেষ্টা করেছেন, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন লাবণী। তবে সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছি। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনো বলার সময় আসেনি। প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে শ্রীপুরের সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন খন্দকার লাবণী আক্তার (৪০)। তিনি খুলনা ডিবি পুলিশের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। তবে সারঙ্গদিয়ার নানা মৃত কুদ্দুস মাস্টারের বাড়িতেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। লাবণীর শ্বশুরবাড়ি মাগুরা জেলার হাজিপুর গ্রামে। স্বামী তারিক আবদুল্লাহ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে খুলনায় কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় মাগুরা পুলিশ লাইনস ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দেড় মাস আগে খুলনা থেকে বদলি হয়ে মাগুরা আসে মাহমুদুল হাসান। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামে। তবে বসবাস কুষ্টিয়ার নতুন কমলাপুরে। কনস্টেবল মাহমুদুল একসময় খুলনায় চাকরি করাকালীন লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আক্তারের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান অবিবাহিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment