যুবলীগের সাবেক নেতাকে দিন দুপুরে কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন

ঝিনাইদহে পূর্ব বিরোধের জেরে ওঁত পেতে থাকা অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নৃশংসতা 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে যুবলীগের সাবেক এক নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আবন আলী (৪২)। তিনি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও খাজুরা গ্রামের সালামত আলী মণ্ডলের ছেলে। আবন আলী একটি হত্যা মামলার আসামি উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানায়, ঝিনাইদহ শহরের পৌরসভার মধ্যে খাজুরা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আবন হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের মঙ্গল মণ্ডলের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার রাতে মঙ্গল মণ্ডলের সমর্থক শাহীন অসৎ উদ্দেশ্যে এক নারীর ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। তারই জের ধরে মঙ্গল মণ্ডলের সমর্থকেরা আবনকে মারধর করার উদ্দেশ্যে খাজুরা গ্রামের রাস্তার পাশে ওঁত পেতে থাকে। রোববার দুপুরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওষুধ কেনার জন্য বটতলা এলাকার ছাদেক মোড়ে একটি ফার্মেসিতে যান আবন আলী। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কেটে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খাজুরা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, ২০২০ সালের ১০ জুন ফারুক হোসেন নামে তাদের গ্রামের এক ব্যক্তি খুন হন। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে ফারুক খুন হন বলে তাদের ধারণা। ওই খুনের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি আবন আলী। ফারুক হত্যার জেরে আজ তাকে খুন করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।

বাবার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করে আবন আলীর ছেলে শাহীন হোসেন বলেন, ‘আশা করছি, পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, কিছুদিন আগে খাজুরা গ্রামে ফারুক হোসেন নামে একজন খুন হয়। সেই খুনের ঘটনায় নিহত আবন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ওই ঘটনার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

Comments (0)
Add Comment