সেই লাশ জিয়ার ছিলো না : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: সেনাবাহিনীর নির্দেশে চট্টগ্রাম থেকে জিয়াউর রহমানের লাশ ঢাকা আনা হয়েছে। কিন্তু জিয়ার নামে যে লাশ আনা হয়েছে, সেই লাশ জিয়ার ছিলো না। কারণ সেই সময় তিনজন সেনা অফিসারের লাশ একসঙ্গে ছিল। সেখান থেকে না দেখেই একটি লাশ ঢাকায় আনা হয়েছে। ফলে এটা যে জিয়ার লাশ তার প্রমাণ নেই। রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে বিএনপির নেতারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি প্রধান আলোচক হিসেবে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
‘জিয়ার লাশ নিয়ে কথা বলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ মনে করে এবং দলিল বলে আপনারাই প্রতারণাটা করেছেন। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মেয়ের জামাই রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন চেয়ারম্যান জহির এবং বর্তমান চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন দু’জনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে জিয়াউর রহমানের কথিত লাশ দাফনের প্রত্যক্ষদর্শী। তারাও বলেছেন যে তারা কোনো লাশ দেখেননি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে অপশক্তি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে, সেই বিএনপি-জামায়াতচক্র এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না, এর একটি ফয়সালা হওয়া প্রয়োজন। ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর এটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রচার করা হয় এবং চট্টগ্রামে তৎকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হান্নান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে বারবার প্রচার করতে থাকেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের কর্মচারী নূরুল হক ২৬ মার্চ গোলাগুলির মধ্যে সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে জীবন বাজি রেখে রিকশায় করে স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করেন। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমানকে ধরে এনে ঘোষণা পাঠ করতে দেওয়া হলে প্রথমে ভুল করেন ও পরে শুদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণাটি পাঠ করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা চালানো হয় এবং স্বাধীনতার খলনায়কদেরকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়।

Comments (0)
Add Comment