বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেছিলেন। এর ফলে দ্রুতই ওজন কমেছিল অভিনেত্রীর।— এমন কথাই জানিয়েছেন আলিয়ার শরীরচর্চার প্রশিক্ষক শোরাব খুশরুশাহি।
অভিনেত্রী সন্তান জন্মের চার মাস পরেই শুটিং করেছিলেন। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমার ‘তুম কেয়া মিলে’ গানের দৃশ্যের জন্য বরফাবৃত পাহাড়ে দৌড়ে, হেঁটে ও নেচে শুট করেছিলেন আলিয়া ভাট। তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে, মাত্র চার মাস আগেই তিনি কন্যা রাহা কাপুরকে জন্ম দিয়েছিলেন।
আবার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালেও শুটিং করতে হয়েছিল আলিয়া ভাটকে। তাই ফিট থাকা এবং ওজন ঝরানোর বিশেষ তাগিদ ছিল তার। কিন্তু কোন উপায়ে এত দ্রুত মাতৃত্বকালীন মেদ ঝরিয়ে ফেলেন রণবীরপত্নী?
সম্প্রতি শরীরচর্চার প্রশিক্ষক শোরাব খুশরুশাহি আলিয়ার পরিশ্রমী সত্তার প্রশংসা করে বলেন, গর্ভাবস্থাতেই আলিয়ার ব্যায়াম, শরীরচর্চার ধরন পাল্টে গিয়েছিল। প্রতিদিনের শারীরিক পরিস্থিতি যাচাই করে ব্যায়াম ঠিক করা হতো। কারণ অন্তঃসত্ত্বা নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা প্রতিদিন বদলাতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী, প্রতিদিনের রুটিনে বদল আনা হতো। প্রতিদিন মূলত পেলভিক ফ্লোর ও শক্তিবৃদ্ধির প্রশিক্ষণই বেশি হতো তার।
আলিয়া এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তার ওজন হ্রাসের রহস্যের কথা বলেছিলেন। সঠিক নিয়ম মেনে ব্যায়াম ও খাওয়াদাওয়া করেই ওজন ঝরিয়েছিলেন তিনি। কেবল একটু বেশি সতর্ক থাকতে হতো তাকে। শরীরচর্চার গতি খানিক কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গর্ভে কোনো কুপ্রভাব না পড়ে। শুরুর দিকে প্রতিদিন ১৫ মিনিটের হাঁটাহাঁটি ও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতেন। এরপর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন, পেলভিক ফ্লোর ও শক্তিবৃদ্ধির প্রশিক্ষণই বেশি হতো তার। গর্ভাবস্থার ১২ সপ্তাহ পর ধীরে ধীরে হাঁটা, যোগব্যায়াম ও পিলাটিজ শুরু করেন। সঙ্গে থাকত হালকা কার্ডিও এবং শক্তিবৃদ্ধির ব্যায়ামও।
তিনি বলেন, সন্তানকে স্তনপান করানো ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার কারণেই তিনি দ্রুত ওজন কমাতে পেরেছেন। পরিমাপমতো ফল, শাকসবজি ও প্রোটিননির্ভর খাওয়াদাওয়া করতেন বলে জানান আলিয়া ভাট।