হাসমত আলী: দামুড়হুদার নাটুদা ইউনিয়নের দুলালনগর-কালিয়াবকরি গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদ পারাপারে কয়েকটি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর । একটি ব্রিজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। প্রতি বছরই গ্রামবাসী বাঁশের সাঁকো সংস্কার করে থাকে।
সরেজমিন দেখা যায়, দামুড়হুদার নাটুদা ইউনিয়নের দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদের ওপর প্রায় ৪০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উঁচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই ভৈরব নদ দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী।
দামুড়হুদার দুলালনগর থেকে কারিয়াবকরির দূরত্ব ৪ শ মিটার, যাতায়াতের বিকল্প সড়ক ব্যবহারে ৮ কিলোমিটা পথচারীদের ঘুরে যেতে হয়। পাশাপাশি গ্রাম করিমপুর, নতিপতো মাত্র দুলালনগর থেকে ১ কিলোমিটার , সেখানে হেমায়েতপুর ব্রিজ ঘুরে ১০ কিলামিটার যেতে হয়। এবং সময় অপচয় হয়। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এ ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবি এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের।
স্থানীয় দুলালনগর গ্রামের ও কালিয়াবকরী গ্রামের মিনারুল ও আসান মিয়া জানান, আশপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ নদীর ওপারে হাটবাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে ছেলে মেয়েরা পানিতে পড়ে যায় এবং পা-হাত ভেঙে যায়। খুবই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মরিুজামান মনি জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ দুলালনগর-কালিয়াবকরির ভৈরব নদের ওপর একটি ব্রিজের জন্য আবেদন করা আছে। মেহেরেপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রজেক্টরে ভিতরে নাম দেওয়া আছে। ইতি মধ্যেই খুলনা প্রকৌশলীর একটি টিম সোয়েল টেস্ট করে গিয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত হবে।