স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গতরাতেও বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর ঝড়ো বাতাস উঠলেও তার স্থায়ীত্ব ছিলো সামান্য। বৃষ্টি দীর্ঘসময় ধরে ঝররেও অধিকাংশ সময়েই হয়েছে টাপুরটুপুর। অবহাওয়া অধিদফতর ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলেছে, ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবনতা অব্যাহত থাকবে।
বুধবার রাতে পূর্বাভাসে বলা হয় রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা এবং খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সেসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। আবার কিছু এলাকায় এখন হচ্ছে। সেই সাথে কাথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায় ১১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৪ ও সর্বনি¤œ ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি। তাপমাত্রা হ্রাসের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের ভোল্টেজেরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে।