আব্দুল্লাহ হত্যায় যুবক আবুলের ১০ বছর কারাদণ্ড

জীবননগরের গয়েশপুর গ্রামের শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার: বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে শিশুকে হত্যার দায়ে চুয়াডাঙ্গায় আবুল হোসেন ওরফে ফটকে নামে এক যুবককে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক লুৎফর রহমান শিশির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এ দ-াদেশ দেন। দ-প্রাপ্ত আবুল হোসেন ওরফে ফটকে (২৭) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বড় মসজিদপাড়ার মোংলার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর প্রতিবেশী আজিজুল হকের ছেলে শিশুপুত্র আব্দুল্লাহকে (৬) কলা খাওয়ানোর কথা বলে একটি মাঠে নিয়ে যান আবুল হোসেন ওরফে ফটকে। সেখানে শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে আব্দুল্লাহ’র গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ একটি হলুদ ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান আবুল হোসেন। তিনদিন পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শিশুর বাবা জীবননগর থানায় মামলা করেন। মামলায় আবুল হোসেনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে।
গতকাল সোমবার রায় জানার পর আব্দুল্লাহ’র বাবা আজিজুল হক দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমার ছেলে তো আর নেই। কোনোদিন তাকে পাবোও না। বিজ্ঞ আদালত খুনিকে যে সাজা দিয়েছেন এতেই আমি খুশি। চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বেঞ্চ সহকারী জহুরুল ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আবুল হোসেন ওরফে ফটকের ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদ-ের রায় প্রদান করেন। পরে পুলিশি পাহারায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয় আবুল হোসেনকে।

Comments (0)
Add Comment