গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিখোঁজ চুয়াডাঙ্গা নয়মাইল সততা ইটভাটার মালিক মেজর –

পাওনাদের চাপে মেজরের ভাগনে হারুনর বিষপানে আত্মহত্যা
পাঁচমাইল প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের নয়মাইল সততা ইটভাটার মালিক শরিতুল্লাহ মেজর গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৩ মাস যাবত নিখোঁজ রয়েছেন। মেজর কুতুবপুর ইউনিয়নের দশমী গ্রামের মোজাফফর মাস্টারের ছেলে। তিনি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিখোঁজ হওয়ায় পাওনাদাররা মেজরের ভাগনে হারুনের কাছে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ ঘটনায় হারুন পাওনা টাকা ফেরত না দিতে পারায় গত পরশু বুধবার রাতে সরোজগঞ্জ বাজারে তার বাড়িতে বিষপান করেন। তিনি দশমী গ্রামের মৃত রুহুল মাস্টারের ছেলে। ওই রাতেই হারুনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসরা হারুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার হারুনের লাশ দশমী নিজ গ্রামে বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সততা ইটভাটার মালিক মেজর। মেজরের ভাগনে হারুন। হারুন এলাকার গ্রাহকের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা করে ইট দেবে বলে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে তার মামা মেজরের কাছে দেন। ওই সমস্ত টাকা নিয়ে মেজর গত ৩ মাস ধরে নিখোঁজ হয়ে যান। এ ঘটনার পর পাওনাদাররা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হারুনকে চাপ সৃষ্টি করে। হারুন পাওনাদারদের টাকা ফেরত না দিতে পারায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে দশমী গ্রামের রায়হান উদ্দিন জানান, হারুন এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ইট দেয়া বাবদে অগ্রিম আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। আমি নিজেই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হারুনের কাছে দিয়েছিলাম ইট কেনা বাবদ। এলাকাবাসীর পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াতে হয়তো হারুন বিষপান করেছে। কথা বলা হয় সততা ইট ভাটার ম্যানেজার মুকুল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত ভাটাই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ ভাটার মালিক মেজর ৩ মাস ধরে নিখোঁজ আছেন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আর জানান, ভাটার মালিক মেজর চুয়াডাঙ্গা অগ্রনী ব্যংকে সিসি লোন নিয়েছিলো। ব্যাংকে টাকা সময়মতো পরিশোধ না করতে পারায় ব্যাংকের লোকজন এসে ভাটার সকল সম্পত্তি দায়বদ্ধ ব্যানার দিয়ে যায়। তবে মেজর ব্যাংকের টাকাসহ লোকজনের কাছে প্রায় ৪ কোটি টাকা ঋণী।

 

Comments (0)
Add Comment