চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশেই কমেছে করোনা সংক্রমণ : বেড়েছে টিকা নেয়ার আগ্রহ

দেশে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন ৫ জন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশেই নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। গতকাল দেশে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েকদিন ধরে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়নি। আক্রান্তদের মধ্যে আরও দুজনের সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিলো ৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার, একজন দর্শনা আনোয়ারপুরে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও করোনা প্রতিরোধক টিকা গ্রহণে আগ্রহ বেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় ১৫ হাজার ১শ ১৭ জন এ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৩৪২ জন। নতুন করে ৩৫০ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৪ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশে ৪০৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিলো এবং আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ৮ জন। সেই তুলনায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। শনিবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ জন। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেনো ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কয়েক ধাপ বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২০ হাজার ৫শ ৩৪ জন করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ১শ ১৭ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, বিজি হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে ৯শ ৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপকেন্দ্রে ৭৩১ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬৫০ জন, জীবননগর উপজেলায় ২৯০ জন টিকা নিয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের উপকেন্দ্রে একজনকে একই দিনের দুবার টিকা দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গায় গতকাল পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৮শ ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬শ ৬৭ জনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬শ ১৪ জন। মারা গেছেন ৫০ জন।

Comments (0)
Add Comment