চুয়াডাঙ্গায় নকল ইউএনওকে ৬ মাসের জেল দিলেন আসল ইউএনও

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: হোটেলে ঢুকে জরিমানা জরিমানা করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয়দানকারী প্রতারককে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কোর্টপাড়ার ১নং পানির ট্যাংকের পেছন এলাকার মৃত নুর হোসেনের ছেলে বলে জানিয়েছে প্রতারক লিন্টু। গতকালই বিকাল ৩টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়।
ভুক্তভোগী হোটেল মালিক মনিরুল ও আব্দুল জব্বারসহ প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতারক লোকটি হোটেলে ঢুকে লাইসেন্স দেখতে চাইলে তাকে লাইসেন্স দেখানো হয়। এরপর বলেন আপনার হোটেল এত ময়লা কেন আপনাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। গতকাল চুয়াডাঙ্গার এক হোটেলকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করে সিলগালা করে দিয়েছি। তবে ২শ টাকা দিলে কোনো জরিমানা করা হবে না। আমি তখন তাকে ২শ টাকা দিয়ে নাস্তা ও সিগারেট দিয়ে বিদায় করি। এরপর তিনি পাশে আব্দুল জব্বারের হোটেলে প্রবেশ করে হোটেলের লাইসেন্স দেখতে চান। আব্দুল জব্বার তাকে লাইসেন্স দেখালে তিনি তখন বলেন হোটেল এত ময়লা কেনো। তোমাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। হোটেল মালিক মালিক জব্বারের সন্দেহ হয় নির্বাহী অফিসার এলে তো অবশ্যই পুলিশ থাকবে। তখন হোটেল মালিক জব্বার প্রতারকের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে হোটেলের ভেতর দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়রা তাড়িয়ে ধরে কিছু উত্তম মধ্যম দিয়ে শঙ্করচন্দ্র ইউপি সদস্য আবুল কালামের নিকট হস্তান্তর করে। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ এলে প্রতারক লিন্টুকে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে বিকেল ৩টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ-বিধির ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে একজনের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে প্রতারক লিন্টুর বিরুদ্ধে।

 

Comments (0)
Add Comment