চুয়াডাঙ্গায় নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও কমছে শনাক্তের হার : কোভিড-১৯ : দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সর্দি কাশি ও গলাব্যাথাসহ করোনা উপসর্গে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার হার বাড়লেও কোভিড-১৯ পজিটিভের হার আশাব্যঞ্জক কমেছে। দেশের চিত্রও প্রায় অভিন্ন। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগী কমেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আরও ২২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৯২ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিনে ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজনও শনাক্ত হয়নি। গতকাল শনিবার নতুন আরও ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬শ ৯২ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২১ হাজার ৩শ ৮২ জন হয়েছে। আরও ২২ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৭ হাজার ৭শ ৫৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার একজন রয়েছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪ জন হয়েছে। আগের দিন শুক্রবার ১৬ জনের মৃত্যু হয়। যা গত ৮ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দিনের হিসাবে গত ৯ মে’র পর সবচেয়ে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১২ হাজার ৯০৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়লেও শনাক্তের সংখ্যা ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গত বুধবারের একজন শনাক্ত নিয়ে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬শ ৫৩ জন। গতকাল আরও একজনের সুস্থতা নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫শ ৯৩ জন। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ জন, বাড়িতে ১৩ জন আইসোলেশনে ছিলেন। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় মোট মৃত্যু হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ৪ জন। বেসরকারি হিসেবে ৪৩ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দিনের হিসাবে গত ৯ মে’র পর সবচেয়ে কম।
প্রসঙ্গত: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিলো গত বছরের ৮ মার্চ। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক। গতকাল শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ৭ জন। এই ২২ জনের মধ্যে ২১ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন; আর বাড়িতে মারা গেছেন ১জন। করোনাভাইরাসে পুরুষের সংক্রমণ হার বেশি। দেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজার ৮৯৫ জন পুরুষ। নারী মারা গেছেন ১ হাজার ৮শ ৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জন মারা গেছেন, তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন। বাকিদের মধ্যে ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ২৭৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪শ ৩০ জন, রাজশাহীতে ৪শ ৪৭ জন, খুলনায় ৫শ ৩৯ জন, বরিশালে ২শ ৩৯ জন, সিলেটে ২ শ ৯৪ জন, রংপুরে ৩৫০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭৮ জন।

Comments (0)
Add Comment