চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন : নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৮৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা নির্বাচন অফিসে এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মেদ প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। নির্বাচনে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সার্বিক সহযোগিতা করেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী ২০ হাজার ভোটারের হারে একের অধিক এবং সর্বোচ্চ ৫টির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে ১ এর অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী ১ এর অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকে প্রচারণা চালানো যাবে। পথ অবরোধ করে কোনো পথসভা করা যাবে না। দেয়াল লিখন করা যাবে না। এসবের ব্যত্যয় ঘটলে আইন প্রয়োগ করা হবে বলে প্রার্থীদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনে ৬৭ হাজার ৭৭৪ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮০৪ এবং মহিলা ৩৪ হাজার ৯৭০ জন। ৩৩টি ভোটকেন্দ্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ইভিএম’র মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত সিরাজুল ইসলাম মনি (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু (মোবাইল ফোন), ইসলামী আন্দোলনের তুষার ইমরান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার), স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে চাঁদনী খাতুন (অটোরিকশা), নাসরিন পারভীন (জবা ফুল), শাহিনা আক্তার রুবি (চশমা) এবং সুফিয়া খাতুন (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ডে বিলকিস নাহার (চশমা), হাসিমা খাতুন (টেলিফোন) এবং সুলতানা আঞ্জু রতœা (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩নং ওয়ার্ডে আন্না খাতুন (আনারস), জাহানারা খাতুন (আংটি), জাহানারা বেগম (অটোরিকশা), মোমেনা খাতুন (জবা ফুল), শাহানা খাতুন (টেলিফোন) এবং শেফালী খাতুন (চশমা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আলমগীর হোসেন ( ব্রিজ), আব্দুল মালেক (উটপাখি), গোলজার হোসেন পিন্টু (পানির বোতল), জয়নাল আবেদীন (গাজর), জাহাঙ্গীর আলম (টেবিল ল্যাম্প), বিল্লাল হোসেন বেল্টু (স্ক্রু-ড্রাইভার), মুনছুর আলী মনু (ডালিম) এবং মোমিনুর রহমান (পাঞ্জাবি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মুন্সি মো. রেজাউল করিম খোকন (গাজর), আজম আলী লিমন (টেবিল ল্যাম্প), আজিজুর রহমান (পাঞ্জাবি), আবুল কালাম (পানির বোতল), আব্দুল আজিজ জোয়ার্দ্দার (ডালিম), আলী হোসেন (ব্রিজ), কামরুজ্জামান বাবলু (উটপাখি), খাইরুল হক (ঢেঁড়শ) এবং মহিবুল ইসলাম (ব্ল্যাকবোর্ড) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৩নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মহলদার ইমরান (পানির বোতল), নাজরিন পারভীন মলি (পাঞ্জাবি), আমিরুল ইসলাম (ব্রিজ), আলমগীর হোসেন (টেবিল ল্যাম্প), জাহিদ হোসেন জুয়েল (ডালিম), জাহিদুল ইসলাম সোহেল (উটপাখি) এবং শরিফ আহমেদ (গাজর) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৪নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মো. তারিকুজ্জামান (উটপাখি), দেলোয়ার হোসেন দয়াল (পাঞ্জাবি), মাফিজুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প) এবং শেখ সেলিম (ডালিম) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আলম (উটপাখি), মুন্সি আলাউদ্দিন আহম্মেদ (ব্রিজ), গোলাম মোস্তফা শেখ মাস্তার (ডালিম), নাজমুল হক মিন্টু (ব্ল্যাকবোর্ড), মিজানুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প), শাহীন উর রশিদ (পাঞ্জাবি) এবং সাইফুদ্দিন সবুর (পানির বোতল) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৬নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আজাদ আলী (পানির বোতল), আব্দুল মান্নান জোয়ার্দ্দার (ব্রিজ), আলামিন ইসলাম (উটপাখি), ফরজ আলী শেখ (পাঞ্জাবি), মোনাজাত শেখ (ডালিম), রাশেদুল হাসান (টেবিল ল্যাম্প) এবং রফিকুল ইসলাম (গাজর) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৭নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে খালিদ ম-ল (ডালিম), আবুল হোসেন (উটপাখি), আশাবুল হক (ব্রিজ), উজ্জ্বল হোসেন (পাঞ্জাবি), জয়নাল আবেদীন (পানির বোতল), মজনুল হক পচা (টেবিল ল্যাম্প), সাইফুল আরিফ বিশ্বাস লিটু (ব্ল্যাকবোর্ড) এবং সুমন হোসেন (গাজর) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৮নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আবু কাউছার বিশ্বাস (পানির বোতল), মো. আহসান (পাঞ্জাবি), টুটুল মোল্লা (ডালিম), ফিরোজ শেখ (ব্ল্যাকবোর্ড), শের আলী বিশ্বাস (উটপাখি) এবং সাইফুল ইসলাম (গাজর) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৯নং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আতিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার (ডালিম), আমান উল্লাহ (উটপাখি), আলাউল ইসলাম (পাঞ্জাবি), ইব্রাহিম শেখ ইমরান (পানির বোতল), কামরুজ্জামান চাঁদ (টেবিল ল্যাম্প), মফিজুর রহমান মনা (ব্রিজ), শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার (গাজর) এবং সুমন আহমেদ (ব্ল্যাকবোর্ড) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Comments (0)
Add Comment