টানা ১১ মাস পর ঝিনাইদহে ফুলের বাজার চাঙা : চাষির মুখে হাসি

স্টাফ রিপোর্টার: টানা ১১ মাস পর ঝিনাইদহ জেলার ফুলের বাজার চাঙা হয়েছে। এতে চাষিরা খুশি। পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আগে ফুলের বাজার চড়তে শুরু করে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে দাম আরো বেড়েছে। করোনার কারণে গত বছরের এপ্রিল মাসে ফুলের বাজারে ধস নামে। সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ফুলের চাহিদা একেবারেই পড়ে যায়। ফুল বিক্রি না হওয়ায় অনেক চাষি খেত থেকে ফুল তুলে ফেলে দেন, কেউ কেউ আবার ফুল খেত নষ্ট করে অন্য ফসলের আবাদ করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরসূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১৭৩ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে। তবে এ জেলায় গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয়। পাশাপাশি গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধার চাষও হয়। ফুলচাষিরা জানান, সাধারণত পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ফুলের চাহিদা বাড়ে। গত বছর করোনার কারণে ফুলের বাজারে ধস নামে। ক্রেতা মেলে না। খেত থেকে ফুল তুলে ফেলে দিতে হয়েছে। এ বছর পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে দাম কিছুটা চড়েছে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি যশোরের গদখালীর আব্দুর রহিম বলেন, ফুলের চাহিদা বেড়েছে। পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমের জেলাগুলোতে ৬ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আরও ৬ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, ফুল ঝিনাইদহের একটি অর্থকরি ফসল। করোনার কারণে গত বছর ফুলচাষিরা লোকসানে পড়ে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ফুল খেতের ক্ষতি হয়। চাষও কমে যায়। এখন দাম বাড়ায় চাষি স্বস্তি পেয়েছে।

Comments (0)
Add Comment