দামুড়হুদায় আশ্রয়নের অধিকাংশ ঘরে তালা : থাকেন না অনেকে

বিক্রির আশায় প্রধামন্ত্রীর উপহার ঘর নিয়ে পাননি বিক্রির সুযোগ

চলে যাওয়াদের বরাদ্দ বাতিল করে আগ্রহী নতুনদের বরাদ্দ দেয়ার চিন্তা

দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার প্রধামন্ত্রীর দেয়া উপহারের (আশ্রয়ন প্রকল্পের) বরাদ্ধ প্রাপ্ত অনেকেই থাকছেনা ওই ঘরে। ঘরে ঝুলছে তালা। তবে বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা এসব ঘরে থাকছেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে দর্শনা রেলগেটের পাশে তিনটি স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ৪৫টি ঘর। এর মধ্যে ১০ নম্বর এলাকায় সাতটি, ১২ নম্বরে এগারোটি ও ২৩নম্বরে ১৬টি ঘরে বসবাস করছেন বরাদ্ধ প্রাপ্ত লোকজন। বাকি ঘরগুলো রয়েছে তালাবদ্ধ। তালাবদ্ধ অধিকাংশ এসব ঘরের বারান্দায় বস্তায় ভরা খড়কুটা রাখা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের দর্শনা রেলগেট এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (আশ্রয়ন প্রকল্পের) দশ নম্বরে জামেলা খাতুন, স্বপন ও জামাত আলীর নামে বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে কেউ বসবাস করেন না। একই ভাবে ১২নম্বরে ফুট্টুরি খাতুন ও ২৩ নম্বরে হাসিনা খাতুন, তানজিরা খাতুন, নবীছদ্দীন, ইমতিয়াজ, হাচিনা খাতুনসহ অজ্ঞাত দুই জন ঘরে বসবাস করেন না। বরাদ্ধ পাওয়ার পর প্রথমদিকে সকলেই ঘরে উঠলেও কিছুদিন থাকার পর তারা ঘরে তালা লাগিয়ে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন।

আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীরা জানান, যারা চলে গেছে তাদের কম বেশি জমিজমা আছে প্রথমে তারা ঘরে ওঠে। পরে তার ওই ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে চলে যাওয়ার আশায় ছিলো। কিন্তু ওই ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ না থাকায় পরে তারা ঘর ছেড়ে চলে গেছে। তারা আরও বলেন যাচায় বাছায়ের কিছু সমস্যাও ছিলো। তাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই। তবে ২৩ নম্বরের বসবাসকারীরা বলেন তাদের এখানে ২৩ ঘরের জন্য দুটি টিউবয়েল এর মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে অপরটি সোমবার রাতে চুরি হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের পানির সমস্যা হচ্ছে। অপর দিকে এখানে জসিম নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী বসবাস করায় তাদের সমস্যা হচ্ছে। প্রায় সময় পুলিশ এসে তাকে খোঁজা খুঁজি করে। তাকে চিনতে না পেরে অন্যদের কে হয়রানী করা হয়।

দামুড়হুদার হাউলী ইউপি সদস্য রিকাত আলি বলেন, এখানে কয়েক জন চলে গেছে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী জসিমের বিষয়ে তিনি বলেন, জসিম, প্রকল্পে থাকা এক নারীর সাথে বিয়ে করে ওখানে থেকে মাদকব্যবসা করায় ওই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তার কারণে এখানে বসবাসকারীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, অনেকে এখানে থাকেন না শুনেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে সত্যতা মিললে তাদের বরাদ্ধ বাতিল করে নতুন ভুক্তভোগীদের নামে বরাদ্ধ দেয়া হবে।

Comments (0)
Add Comment