যশোর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ঝিনিাইদহের একজনসহ ১০করোনা রোগীকে ধরেছে পুলিশ

যশোর আড়াইশ বেড হাসপাতাল থেকে পালেয়ে যাওয়া করোনা আক্রান্ত ১০ জন রোগীকে ধরেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৭ জন ভারত থেকে ফেরা করোনা আক্রান্ত রোগী। যশোর জেলা প্রশাসক বলেছেন, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভারত প্রত্যাগত ৭ জন এবং স্থানীয় তিনজনসহ ১০ জন করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের ধরে স্বস্ব জেলা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, পালিয়ে যাওয়া ১০ জনকেই শনাক্ত করে তাদের স্ব স্ব জেলার হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে পালিয়ে যাওয়া রোগীদের নাম ঠিকানা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়। তারা তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করেন।  যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিকেলে  বলেন, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাতজনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরা হয়। তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে। ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমিত ৭ জন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। তাঁরা যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে যান। রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় এই পালানোর বিষয়টি আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়,৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন আসেন। তাঁদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তাঁরা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এই সাতজন হলেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহম্মেদ বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। তাঁদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির পর করোনা ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভর্তির টিকিট ওয়ার্ডে পৌঁছেছে, কিন্তু রোগীরা সেখানে যাননি। হাসপাতালে থাকতে হবে বলে সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে গেছেন। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে আসা ৭ জন করোনা পজিটিভ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের পাসপোর্ট হাসপাতালের সিস্টারদের কাছে জমা থাকার কথা। কিন্তু সেটা ছিল না। কেন সেটা ছিল না এবং হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া রোগীদের ব্যাপারে নিজ নিজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment