শামসুজ্জামান দুদু চাঁদাবাজ ও দখলদাররা বিএনপির লোক না : তাদের সাথে কোনো আপস নয়

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কথায় কথায় ওই মহিলা বলতেন এতিমের টাকা খাওয়ার কথা। কিন্তু সেই শেখ হাসিনা ব্যাংকের টাকা কোথায় পাচার করেছেন, বারবার বলতেন মুজিব কন্যা পালায় না, মুজিবের কন্যা বাংলাদেশকে অপমানিত করেছেন। এখন তিনি ভারতে গিয়ে বসে আছেন। যারা আমাদের বর্ডার বন্ধ করেছেন, ভিসা বন্ধ করেছেন, যারা আমাদের মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত গুলি করে মানুষ মারছে, আপনি সেই দেশে গেছেন, আপনি জীবন বাঁচানোর জন্য নাকি পালিয়েছেন।’ গতকাল শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে আলমডাঙ্গার থানা সংলগ্ন মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “কথা খুব পরিষ্কার, যে দিন বেগম জিয়ার সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিন্ত হবেন, সেদিন আমরা ঘরে ফিরতে পারবো। আজ থেকে শুরু হলো চুয়াডাঙ্গায় ধানের শীষের মাঠ তৈরি। কিছু কিছু মানুষ আছে, তাদের দুষ্ট কাজের জন্য আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুষ্ট কিছু মানুষ আছে, তাদের দুষ্ট কাজের জন্য আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বিএনপির সিদ্ধান্ত আছে, চাঁদাবাজরা বিএনপির লোক না, দখলদাররা বিএনপির লোক না, যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করে তারা বিএনপির লোক না। এদেরকে ধরবেন আর আইনের হাতে তুলে দেবেন। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, বিএনপি স্বাধীনতার দল, বিএনপি গণতন্ত্রের দল, এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। তিনি বলেন, “বিএনপির লোকজন জোর করে এমপি হয় না। তারেক রহমান ষোলো বছর লড়াই করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ শেখ হাসিনা বারবার বলতেন ‘মুজিব কন্যা পালাই না’, কিন্তু এখন সীমান্তে যারা আমাদের মানুষ হত্যা করছে সেই দেশের আশ্রয়ে ভারতে পালিয়ে আছেন।” শহীদ জিয়া আমাদেরকে শিখিয়েছেন ভালোবাসার রাজনীতি, মানুষকে রক্ষার রাজনীতি, দেশকে রক্ষার রাজনীতি, স্বাধীনতাকে রক্ষার রাজনীতি। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, আমি আলমডাঙ্গার প্রতিটি ঘরে ঘরে যাব।  শহীদ জিয়ার কথা বলার জন্য যাব, বেগম জিয়ার কথা বলার জন্য যাব, তারেক রহমানের কথা বলার জন্য যাব। দুদু বলেন, “আলমডাঙ্গার মানুষ আমি, আমাকে দুবার এমপি নির্বাচিত করেছেন আলমডাঙ্গার জনতা। বিএনপি’র এমপি জোর করে হয় না, ১৮ বছর ধরে বিরামহীনভাবে সংগঠন গড়ে তুলে লড়াই করেছেন হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার নাম তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি অনেক নির্যাতন, দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছেন, তবুও কখনো স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করেননি। আমরা তার কর্মী। আমাদের প্রতীক ধানের শীষ, যা মানবতার প্রতীক, কৃষকের প্রতীক।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে দুদু বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষ ছাড়া আর কিছু পাত্তা পাবে না। এবার সরকার হবে ধানের শীষের সরকার। চুয়াডাঙ্গায় ধানের শীষের জন্য আমাদের মাঠ তৈরি করতে হবে। আজ থেকে তা শুরু হলো। দুদু বলেন, বেগম জিয়ার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, শিক্ষিত ও সক্ষম বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, এই প্রতিজ্ঞা করেছে বিএনপি। তিনি শুরুর কথায় গভীর শোক ও বেদনা প্রকাশ করে জানান, “আমাদের ঘনিষ্ঠ  মজিবুল হক মালিক মজু হঠাৎ না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আজ আমি দুঃখ-ভরাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।” তার এ অভিব্যক্তিতে রাজনৈতিক জীবনের কঠিন সংগ্রামের পাশাপাশি মানুষের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা ফুটে উঠে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলুর সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করীম, জেলা বিএনপি নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদী, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক সদস্য আবু জাফর, অ্যাড. মইনুল, অ্যাড. বদিউজ্জামান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মখলেচুজ্জামান মখলেচ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আগামী নির্বাচনে আপনি যদি মন্ত্রী হন, আলমডাঙ্গার কুমারী ভেটেরিনারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবো। আর সন্নিকটে ৫০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল করব, যাতে উন্নত চিকিৎসা পায় সবাই।” শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে, কৃষকের ঘামে মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে।” মতবিনিময় সভাটি ছিলো এক নতুন সূচনা, যেখানে রাজনৈতিক সংকল্প আর মানবিক আদর্শ মিলে এক আশার গল্প বুনেছে আলমডাঙ্গার আকাশ তলে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবু জাফর সিদ্দিক, আব্দুল মালেক মোল্লা, খোকন মিয়া, জয়নাল, সিরাজ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদক, ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন্দ আলী, মাসুদ পারভেজ, নুরুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব মাস্টার, মইনুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ, মইনুদ্দিন, রেজাউল হক, মফিজ উদ্দিন, ডা. আলা উদ্দিন, রফি উদ্দিন মেম্বার, লিয়াকত আলী, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, আশরাফুল ইসলাম ডালিম, ঝন্টু, জাহিদুল ইসলাম, নওজেশ আলী, আক্তার হোসেন, ইউনুস আলী, জহুরুল ইসলাম, রাসেদ আলী, ডা. শাহাজান, খাকসার আলী, মুনতাজ, শরিফুল ইসলাম, হ্যাবা, আব্দুল সালাম, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল হালিম, আক্তার হোসেন,হাবলু, হরিবার, ওহিদ, ফজলুর রহমান, সাবেক যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবীর মুকুল, চিনির উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, সুন্নত আলী, সাবেক রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি কায়সুল কাউনাইন রুবেল, যুবদল নেতা, রহিত, শরিফুল মেম্বার, গাউসুল কাউনাইন সুষম, সুলতানুল আরেফিন রুবেল, ফারুকুজ্জামান, মামুন, রানা, রাসেল, মিঠু বিশ্বাস, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি রানা হামিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ আলী, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি সাজিদুর রহমান সুজন, সহ-সভাপতি নয়ন, সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ শিবলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর হক নেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন জোয়ার্দ্দার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শুভ, চুয়াডাঙ্গা পৌর শাখার সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইন্নাল হোসেন ও বাদশা আলী, সহ-প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও সহ-দপ্তর সম্পাদক ইমরান আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সামিউল হাসান সানী, লিটন আলী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিখন হাসান হিরক, সাইদ হাসান, রাজিব, রাশেদুজ্জামান, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান আসিক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আলী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদ আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মোরমিক আহমেদ চপল, সহ-সভাপতি রাজু, সম্পদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাংগঠনিক আল আমিন বিশ্বাস হিমেল, পৌর শাখার সভাপতি শামিম রেজা সাগর, সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক শামিম প্রমুখ।