সাব-রেজিস্টারের ড্রয়ার ও ঝাড়ুদারের পকেটে পাওয়া গেলো দেড় লাখ টাকা

মেহেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছদ্মবেশে দুদকের একটি টিমের অভিযান

মেহেরপুর অফিস: সকাল থেকেই ছদ্মবেশে দুদকের একটি চৌকস টিম মেহেরপুর সাব রেজিস্ট্রির অফিসে অবস্থান নেয়। সারাদিন পর্যবেক্ষণ শেষে ঘুষের বিষয় নিশ্চিত হয়েই তারা বিকেলে শুরু করেন অভিযান। আর অভিযানের শুরুতেই আটক করা হয় সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ঝাড়–দার রেজাউল হককে। তার পকেট তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৭৪ হাজার ৬১৪ টাকা। তার কাছে এতো টাকা কেন জানতে চাইলে রেজাউল হক দুদককে জানান, সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের নির্দেশে রেজিস্ট্রি অফিসের মহুরারদের কাছ থেকে এ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলামের টেবিলের ড্রয়ারেও পাওয়া যায় আরও ৭৬ হাজার টাকা। তবে এ টাকা সরকারি টাকা বলে দাবি করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলার সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে দুদুকের একটি দল মেহেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলার সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকেই দুদকের সদস্যরা সাব-রেজিস্ট্রির অফিসের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। এক প্রকার নিশ্চিত হয়েই বিকেলের দিকে তারা অভিযানে নামেন। এসময় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ঝাড়–দারের পকেট থেকে ৭৪ হাজার ৬১৪ টাকা উদ্ধার করা হয়। মেহেরপুর জেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ছিলো। সেই অভিযোগের ধারাবাহিকতায় দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, অবৈধ অর্থ লেনদেনের খবর পেয়েই আমরা অভিযান চালাই। আমরা এখানে যা পেয়েছি তা লিখিতভাবে জানানো হবে, তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রেসের সামনে বক্তব্য দেয়ার বিধি নিষেধ আছে। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।

 

Comments (0)
Add Comment