দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় : পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহন চলছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কনকনে শীতে ভোটার সাধারন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঝলমলে রোদে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন কেন্দ্র থেকে উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটের দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, শ্রীম-ল ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকবে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৭ এবং সর্বোচ্চ সীতাকু-ে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে স্টাফ রিপোর্টার জহির রায়হান সোহাগ জানাচ্ছেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৩৩টি কেন্দ্রে আজ (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ভোটের সরঞ্জাম। জেলা নির্বাচন অফিস ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩৩ টি ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বুঝে নেন এসব ভোটের সরঞ্জাম। এই প্রথম এ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে ৩৩টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের (ইভিএম) মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভোট প্রদান কার্যক্রম প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্টে ভোটারদের ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম (ইভিএম) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট প্রদানের ধারণাও দেয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।  জেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩২ হাজার ৮১৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৩৪ হাজার ৯৯০ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৩ টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৯৭ টি। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মনি (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী তুষার ইমরান (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) মজিবুল হক মালিক মজু (মোবাইল ফোন), অ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশ (নারিকেল গাছ), অ্যাড. সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ (জগ) এবং তানভীর আহমেদ মাসরিকী (কম্পিউটার) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া, নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৩টি পদে মোট ১৩ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ৯টি পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তবে, গেল বুধবার সকালে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিললাল হোসেন বেল্টু মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।  ইভিএম পদ্ধতিতে এই প্রথম নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে খুশি ভোটাররা। চুয়াডাঙ্গা রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসে গুলশান পাড়ার শরিফ উদ্দিন ও ইলোরা পারভীন জানান,এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। খুব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোন বিশৃঙ্খলা নেই। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানান, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচনের মাঠে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করবেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের একাধিক টিমের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছে র‌্যাব ও আনসার বাহিনী। এছাড়া দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments (1)
Add Comment
  • nd tuta khan

    পাস কে করলো