ধৈর্য্যশিলকে মহান সৃষ্টিকর্তা পছন্দ করেন

চুয়াডাঙ্গায় শুধু বহিরাগতরাই নয়, স্থানীয়রাও নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল শনিবার সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৭৮ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত অথচ এখনও শনাক্ত হননি, কিম্বা আক্রান্ত অথচ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার মতো উপসর্গ নেই এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারের জারি করা স্বাস্থ্য বিধি না মানলে অর্থাত নিজে সতর্ক না হলে ঘোর বিপদ। এ বিপদ সকলের ঘাড়েই যেনো ছাড়ছে গরম নিঃশ্বাস। সতর্কতার বিকল্প নেই।
অনেকেই হয়তো ভাবছে, অনেকদিনই তো ঘরে-বাড়ি বন্দি থাকলাম, ঘন ঘন হাতও ২০ সেকেন্ড ধরে ধুলাম। আর কতদিন? জীবনের জন্য ক্ষুধা নিবারণ আর সুস্থতা সম্পূরক। দুটির কোনটিকেই খাটো করে দেখার জো নেই। তাই বলে আশে পাশে ছোঁয়াছে রোগের প্রকোপ দেশে শুনেও কি যা হয় হবে বলে গড্ডালিকায় গা ভাসানো উচিৎ? অবশ্যই না। যারা চিকিৎসক, যারা সেবিকা তাদের অনেকেই যেমন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনই মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য বাধ্য করতে রাস্তায় নেমে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ পুলিশের অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। গতকালও চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৩৫ জনের করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে যেমন রয়েছেন চিকিৎসক, তেমনই রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগে স্বাস্থ্য সেবার কাজে নিয়োজিত থাকা কয়েকজন। জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীও আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এরপরও কি আমার কিছু হবে না ভেবে যা ইচ্ছে তাই করা চলে? চলে না বলেই কয়েকদিনের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গা শহরকে আবারও লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া বাকি সকল প্রকারের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর? অবাক হলেও সত্য যে, দোকানিদের অনেকেই দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহরগুণতে দেখা গেছে। এদের অনেকেই অবশ্য গতকাল অর্থদ-ে দ-িতও হয়েছেন।
সুস্থ থাকার পথ দেখানো দায়িত্বশীলতারই অংশ। অর্থদ- বা শাস্তি দেয়া মানে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি অনেকটা বাধ্য করাও। কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা নয়। সর্বসাধারণের স্বার্থেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুনঃ তাগিদ দেয়া হচ্ছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক তথা ছোঁয়াছে এই রোগের প্রকোপ কিছুটা কমলে সব কিছুই খুলে দেয়া হবে। এই রোগের প্রতিষেধক এখনও অবিষ্কার হয়নি, সংক্রমণও থামেনি। এমতাবস্থায় অধর্য্য বড় ধরণের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পরে। ধর্য্যশিলকে মহান সৃষ্টি কর্তাও পছন্দ করেন।

Comments (0)
Add Comment