কাতারে হামলা করে ইসরাইলের কী ক্ষতি হলো?

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য ছিল ‘যত বেশি সম্ভব হামাস নেতাকে হত্যা করা’—এমন মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি বিষয়ক বিশ্লেষক ড্যান পেরি। দোহায় হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে তিনি বলেন, নেতানিয়াহু এ ঘটনায় এক বড় ধরনের ‘জুয়া’ খেলেছেন।

পেরি মনে করেন, সহজ ব্যাখ্যাই সবচেয়ে সম্ভাব্য—নেতানিয়াহু চান তিনি যেসব হামাস নেতাকে ধরতে পারবেন, তাদের হত্যা করতে।

তবে এর পাশাপাশি তিনি হয়তো যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে দিতে এবং নিজের নড়বড়ে জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন বলেও ধারণা দেন।

পেরির মতে, নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য হলো হামাসকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা, বন্দিদের মুক্ত করা এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করা। তবে এর পর তিনি কী চান তা স্পষ্ট নয়।

তিনি বলেন, এর পর কী হবে তা কেউ জানে না, কারণ তিনি আসলে বৈশ্বিকভাবে যে পছন্দ রয়েছে—ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো রূপে গাজায় প্রবেশ—তার পথে দাঁড়িয়ে আছেন।

দোহায় হামলা চালানো আসলে নেতানিয়াহুর জন্য বিরাট এক ঝুঁকি ছিল বলে মনে করেন পেরি। কারণ এ ঘটনায় তিনি এখন ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি।

পেরি বলেন, আমি বলতে পারি, তিনি এ কারণে সমালোচিত হচ্ছেন কেবল বিশ্ব সম্প্রদায়, কাতার ও আরব দেশগুলো দ্বারাই নয়—যেসব দেশ ইসরাইলের পাশে থাকা জরুরি, যেমন মিশর—তাদের কাছ থেকেও। এমনকি ইসরাইলের ভেতর থেকেও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।