কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলা ও পৌরসভায় এলাকায় করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল ও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। লকডাউনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে দেড় শতাধিক। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৪ জন। এর মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড ও রোগীর সংখ্যা সমান। রোগী বাড়লে অতিরিক্ত বেডের প্রয়োজন হবে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রেড জোন এলাকায় লকডাউন তুলে সব মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জেলা করোনা প্রতিকার কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, লকডাউন দিয়েও প্রত্যাশিত ফলাফল আসেনি। তাই ঈদ সামনে রেখে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বিশেষ করে কুষ্টিয়া পৌর এলাকা ও সদরের বিভিন্ন গ্রামে আক্রান্ত বেড়েছে। মানুষকে সচেতন করলেও কথা শুনছে না। আমরা তদারকিতে মাঠে আছি। পুলিশ প্রশাসন সব সময় মাঠে কাজ করছে। তারপরও রোগী কমছে না। বিষয়টি চিন্তার।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। গত ২৫ জুন লকডাউন শুরুর পর ৭ জুলাই লকডাউনের শেষ দিনে রোগী বেড়েছে ৩৭৬ জন। শুধু পৌর এলাকায় এই মুহূর্তে রোগী সংখ্যা আড়াই শতাধিক। আর জেলায় রোগীর সংখ্যা ৮ শতাধিকের ওপর। এর মধ্যে জুন ও জুলাই মাসের রোগী বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় পৌর এলাকায় ৪ জন মারা গেছেন। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ। যারা মারা গেছেন তারা হলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহরের ১নং ওয়ার্ড কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুল (৭৪), চৌড়হাস স্টেডিয়ামপাড়ার বাসিন্দা আলেয়া বেগম (৫৮), হাসপাতালের চিকিৎসক হোসেন ইমামের মা ফাতেমা বেগম (৫৮), বারখাদা এলাকার বাসিন্দা মিনুকা বেগম (৩০)। আলেয়ার সন্তান বিআরবি কর্মকর্তা আলি আহম্মেদ লিটন মারা যান এক সপ্তাহ আগে।
সিভিল সার্জন ডা, এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম মাথাভাঙ্গাকে বলেন, লকডাউন দিলেও সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়ায় প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বরং রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যু।

Comments (0)
Add Comment