গত ৮ জুলাই করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬ এলাকার ইত্তেহাদ কমার্শিয়ালের একটি ভবনের চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার হয় পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের লাশ। সেদিন পুলিশ এটিকে ’অস্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন সব তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। মৃত্যু যেন আরও ঘনীভূত রহস্যে ঢেকে যায়। দীর্ঘদিন অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে তদন্ত চললেও এবার আদালতের নির্দেশে মামলার পথে হাঁটছে পুলিশ।
পিটিশনে বলা হয়, মৃত্যুর পরও হুমাইরার ফোন সচল ছিল। পরিচিত এক মেকআপ আর্টিস্টের একাধিক কল তিনি ধরেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ছবি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। তাই পিটিশনে ওই মেকআপ আর্টিস্ট, হুমাইরার ভাইসহ কয়েকজনকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
করাচির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ (দক্ষিণ) পুলিশকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট শাহজাইব সোহেল আদালতে পিটিশন করে দাবি করেছিলেন- হুমাইরার মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যা। আদালত সেই যুক্তিই গুরুত্ব দিয়ে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
আগের এক শুনানিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে জানিয়েছিলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় তারা। তবে নতুন নির্দেশে এবার পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি নেওয়া থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ মামলা করার পথ খুলে গেল।
হুমাইরার মৃত্যু রহস্যের পর্দা এবার হয়তো সরে যাবে। দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে প্রকৃত সত্য সামনে আনবে পুলিশ। —এমনটিই দাবি ভক্তদের।