রাখাইনে আবারও মিয়ানমার সেনাদের বর্বরতা

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, মিয়ানমারের রাখাইনে আবারও দেশটির সেনাবাহিনী বর্বরতা চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছবি ও তথ্য-উপাত্তসহ এসবের প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। এসব কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ সংক্রান্ত ভিডিও, ছবি ও প্রমাণাদি রাখাইন রাজ্য থেকে সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি তারা স্যাটেলাইট ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ করছে। সেই সঙ্গে বিশ্লেষণ করছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন, বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের দেয়া তথ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান।
এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক মিং ইইউ হা বলেছেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ হ্রাস পাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সাধারণ মানুষ এটার শিকার হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাদের ভোগান্তি কমানোর কোনো ইচ্ছা ও লক্ষ্য তাদের নেই। বিষয়টা শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও বটে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত এ বিষয়টি দ্রুত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলে ধরা।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার তাদের সেনাবাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী শুধু মানুষকে মারার উদ্দেশে পুঁতে রাখা ভূমি মাইনের (এমএম-২) সন্ধান পেয়েছেন অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। যেখানে এ ধরনের মাইন থাকার কথা নয়। স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ ধরনের মাইনে রাখাইন ও চীন রাজ্যে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বুথডিয়াং শহরতলীতে রোহিঙ্গা শিশুদের শিশুশ্রমে বাধ্য করছে।

Comments (0)
Add Comment