করোনা উপসর্গ নিয়ে দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গার  জহুরুলের ঢাকায় মৃত্যু : গ্রামে দাফন 

দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদায় জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ব্যক্তি দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা নতুনপাড়ার মৃত মসলেম আলী ম-লের ছেলে। তিনি গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় মারা যান। নিহতের মরদেহ গতকাল শনিবার ভোরে নিজ গ্রাম হোগলডাঙ্গা নেয়া হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে করোনা আতঙ্ক। পরে পুলিশ পাহারায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা নতুনপাড়ার মৃত মসলেম আলী ম-লের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪০) এলাকায় ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে বছর খানেক আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ওখানে গিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন পর স্ত্রী-সন্তানকেও নিয়ে যান ঢাকায়। ৮/১০ দিন আগে তিনি আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেখা দেয় জ্বর, সর্দি-কাশিসহ নানা উপসর্গ। পরিবারের লোকজন করোনার ভয়ে হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা করাতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার ভাড়ার বাসায় মারা যান তিনি। বাসার মালিকের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে গতকাল শনিবার ভোরে মরদেহ নেয়া হয় নিজ গ্রামে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে করোনা আতঙ্ক। নতুনপাড়ায় জরুরি কাজ থাকলেও কেউ ওমুখো হননি। পরে পুলিশ পাহারায় নিহতের লাশের জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়। হোগলডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকির হোসেন জানান, ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক দূরে দাঁড়িয়ে থেকে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, আমরা জানতে পেরেছি নিহত ব্যক্তি করোনার উপসর্গ ছিলো। যারা সাথে ছিলো শুধুমাত্র তাদের পরীক্ষার আওতায় নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহে থাকা ভাইরাস ৩ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। তিনি মারা গেছেন ঢাকায়। সুতরাং যারা লাশ দেখতে এসেছিলেন তাদের ভয়ের কিছু নেই এবং যিনি লাশের গোসল করিয়েছেন তারও কোন সমস্যা নেই। তারপরও যদি পরীক্ষা করাতে চান তাদের নমুনা নেয়া হবে।

Comments (0)
Add Comment