আলমডাঙ্গা ব্যুরো: প্রবাসে জীবিত থাকার পরও বেলগাছি গ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে হত্যাসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বেদানা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। লিখিত বক্তব্যে বেদানা খাতুন জানান, আমার ভাসুরের ছেলে সাগর লিবিয়া প্রবাসী। পার্শ্ববর্তী খেজুরতলা গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে প্লাবন আমার ভাসুরের ছেলে সাগরের মাধ্যমে লিবিয়ায় যায়। যাওয়ার এক বছর পর প্লাবনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে আমি, আমার স্বামী শফিকুল ইসলাম ঠান্ডু ও আমার ছেলে জীমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন প্লাবনের পিতা। ওই মামলায় আমার ছেলে জীম কারাগারে রয়েছে। আমরা জামিনে রয়েছি। বেদানা খাতুন সম্প্রতি ধারনকৃত প্লাবনের একটি ভিডিও বার্তা দেখিয়ে বলেন, গত ১০ আগস্ট লিবিয়ায় থাকা প্লাবন তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেছে। প্লাবন একইদিন আমাদের সাথেও ভিডিও কলে কথা বলেছে। সে জীবিত আছে। আমাদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার সে দুঃখ প্রকাশ করে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, আমি নিজে একজন শিক্ষিকা। আমার স্বামী কৃষি কাজ করেন। আমার ছেলে জীম কলেজ শিক্ষার্থী। বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার ভাসুরের ছেলে সাগরের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই। তবুও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সীমাহীন হয়রানি করা হয়েছে। আমার ছেলে ওই মিথ্যা মামলায় এখনও কারাবাস করছে। স্কুল শিক্ষিকা বেদানা খাতুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতিসহ সীমাহিন হয়রানির তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।