জীবননগরে পরকীয়া প্রেম : দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি বাসার-রোকেয়ার

জীবননগর ব্যুরো: পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর ছাড়ার দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি বাসার-রোকেয়ার। আবুল বাসার (৫৮) এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ স্ত্রীকে ফেলে ও রোকেয়া বেগম (৩৫) স্বামী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে ফেলে রোববার সকালে ঘর ছাড়ে। গতকাল সোমবার এ ঘটনা দৈনিক মাথাভাঙ্গাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা মানুষের প্রধান আলোচনার উপজীব্যে পরিণত হয়। আবুল বাসার মেম্বার জীবননগর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত গরীব হোসেন মেম্বারের ছেলে। তিনি সম্প্রতি সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। অপর দিকে রোকেয়া খাতুন উপজেলার কাশিপুর মাঠপাড়ার সাবেক সেনা সদস্য আবুল কাশেমের স্ত্রী। এ ঘটনায় আবুল কাশেম থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবুল কাশেমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি সেনাবাহিনীতে চাকুরি করাকালে স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ৩ সন্তান নিয়ে কাশিপুর মাঠপাড়ার বাড়িতে বসবাস করতেন। বাঁকা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আবুল বাসারের নজর পড়ে সুন্দরি রোকেয়ার প্রতি। বাড়িতে স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে আবুল বাসার রোকেয়ার সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হাতিয়ে নিতে থাকেন অর্থকরি। এ ঘটনার জানার পর স্বামী আবুল কাশেম আবুল বাসারকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেন। কিন্তু আবুল বাসারের কর্মকান্ড থামেনি। সম্প্রতি আবুল কাশেম সেনা সদস্য হতে অবসর নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বাসার। গত রোববার সকালে বাঁকা মাঠপাড়ার সুমনকে সঙ্গে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে রোকেয়া বেগমকে কাশিপুর মাঠপাড়ার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় রোকেয়া বেগম নগদ ৫ লাখ টাকাসহ ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। খবর পাওয়ার পর তিনি বাসারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইলের সুইচ বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তাদেরকে হন্যে হয়ে খুঁজছে বলে জানা যায়। বাসারের গৃহবধূ নিয়ে পালানোর এ ঘটনা ‘টক অব দ্যা টাউনে’ পরিণত হয়েছে।