মহেশপুরে ডিজিটাল জরিপ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জমাজমি জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে পয়েন্টে’-কর্মরত ব্যক্তিদের সিন্ডিকেটের আওতাভুক্ত করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের আওতাভুক্ত হতে রাজি না হলে তাদেরকে ডেকে নিয়ে হামলা ও হুমকি প্রদান করেছেন জেলা ও উপজেলা আমিন কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। গত পরশু বুধবার বিকেলে ‘ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে পয়েন্টের’ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী। হামলার ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর ঝিনাইদহ জেলা আইন কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি মাসুদ রানাসহ ৫জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৬/৭জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, আব্দুর রাজ্জাক, তাকিছুর রহমান তপু, আব্দুর রহমানসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল খালেক বলেন, “গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা আমিন কল্যাণ সমিতির কতিপয় নেতা আমাদেরকে তাদের কার্যালয়ে ডেকে জোরপূর্বক আমিন কল্যাণ সমিতিতে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দেন। তাদের সাথে আমাদের মতবিরোধ দেখা দিলে তারা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং একটি সংঘবদ্ধ মব তৈরি করে আমাদের ওপর হামলা চালায়। সেখান থেকে আমরা কৌশলে পালিয়ে কোনমতে আমাদের জীবন রক্ষা করি। তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের ২৭ জুন ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভে পয়েন্ট নামে একটি আধুনিক জরিপ প্রতিষ্ঠান চালু করি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ও নিখুঁত জরিপ করায় জনসাধারণের কাছেপ্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে উপজেলা ও জেলা আমিন কল্যাণ সমিতির একটি প্রভাবশালী মহল শুরু থেকেই নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ, ঝিনাইদহ জেলা আমিন কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি মাসুদ রানা আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং সঙ্গবদ্ধভাবে হামলা চালাতে উদ্যত হন। আমরা কোনোমতে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই।” আমার প্রশাসনের নিকট হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ জরিপ কার্যক্রম নির্বিঘেœ চালাতে প্রশাসনিক সহায়তা চাচ্ছি।