অবশেষে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন দর্শনার রিন্টু

স্টাফ রিপোর্টার: ভুয়া কাবিনে বিয়ে করা যুবতীকে অবশেষে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন দর্শনার আসাদুজ্জামান রিন্টু। গতকাল রোববার মানবতা ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিকেলে উভয়পক্ষের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে যুবতীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান রিন্টু। এর আগে স্ত্রী স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর আইনী সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করেন ওই যুবতী।
ঘটনাসূত্রে জানা গেছে, দর্শনার সোসাইটি পাড়ায় খান কম্পিউটার নামে প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুবাদে দুবছর আগে কলেজপাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান রিন্টুর (৩০) সাথে একই এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর (২৪) পরিচয় হয়।
বছর চারেক আগে স্ত্রী মারা যাওয়ায় রিন্টু ওই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার পিটিআই মোড়ে একটি বাড়িতে বিয়ে করেন তারা। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় রাত যাপন করতে থাকেন।
এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই যুবতীকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে অস্বীকার করেন আসাদুজ্জামান রিন্টু। বিয়ের ঘটনাটি সাজানো নাটক, কাবিনও ভুয়া বলে জানান রিন্টু। তার কথায় হতবাক হয়ে পড়েন ওই যুবতী। এলাকায় বহুজনের দ্বারস্থ হয়েও বিচার না পেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আইনি সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশন বরাবর আবেদন করেন।
আবেদনের পর ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সালিসেও স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন আসাদুজ্জামান রিন্টু। পরে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেন ওই যুবতী। পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর গতকাল রোববার মানবতা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই যুবতীকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানান আসাদুজ্জামান রিন্টু। বাদ আসর উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে তিন লাখ এক টাকা দেনমোহরানা ধার্যে ইসলামী শরিয়তের বিধান মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার, তথ্য কর্মকর্তা অ্যাড. নওশের আলী, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জীল্লুর রহমান জালাল, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু।

 

Comments (0)
Add Comment