অবৈধ সম্পর্ক : তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সেবিকার সাথে কর্মচারীর পরকিয়া সম্পর্কের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে হাসপাতালজুড়ে। দীর্ঘদিন যাবত তাদের এই কর্মকা- নিয়ে অস্বস্তিতেও পড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এবার স্বামীর বিরুদ্ধে ওই পরকিয়া সম্পর্কের জেরে সংসারে অশান্তি, মারধরের অভিযোগ তুলেছেন কর্মচারী সেলিমের স্ত্রী। অভিযাগের প্রতিকার চেয়ে এবং সেলিমকে নিজ এলাকা রাজবাড়ি জেলায় বদলি জন্য সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি। ওয়ার্ডবয় সেলিমের বাড়ি রাজবাড়ি জেলায় এবং নার্স তৃষ্ণা মনির বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলায়। বর্তমানে হাসপাতালের পেছনে একই মহল্লায় থাকেন তারা।
এদিকে, সিনিয়র স্টাফ নার্স তৃষ্ণামণি ও ওয়ার্ডবয় সেলিমের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইমেজ ঠিক রাখতে বিষয়টি গোপন করলেও সেলিম-তৃষ্ণামনির সম্পর্কের বিষয়টি এখন প্রত্যেকের মুখে মুখে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন স্থানীয় অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী (এমএলএসএস) বর্তমানে সার্জারি পুরুষ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত সেলিম ও সিনিয়র স্টাফ নার্স তৃষ্ণা মনির পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছে। সুযোগ পেলেই হাসপাতালের যেকোন স্থান বা নিরিবিলি জায়গায় তাদের খোস গল্পে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এর আগে এ নিয়ে হট্টোগোলও হয় হাসপাতাল এলাকায়। বিষয়টি সেলিমের স্ত্রী জানতে পারলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। তৃষ্ণা মনির কারণে সেমিল কর্তৃক তার স্ত্রীকে মারধর, দীর্ঘদিন যাবত মাদকাসক্ত, সংসারে ঠিকমত দেখভাল না করাসহ অশান্তি সুষ্টি হয়। এসবের প্রতিকার চেয়ে সেলিমের স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন বরাবত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও নিজ নিজ এলাকায় বদলীর জন্যেও লিখিত অবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা.এসএসএম মারুফ হাসান হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট (সার্জারি) ওয়ালিউর রহমান নয়নকে সভাপতি করে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম এবং সদস্য হিসেবে আছেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আকলিমা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দায়িত্বশীল সূত্র দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নার্স তৃষ্ণামনির জন্য সেলিমের পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে মর্মে সেলিমের স্ত্রী সিভিল সার্জন বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। সেই পেক্ষিতে সিভিল সার্জন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

Comments (0)
Add Comment