আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় বছরে ৬ মাস কাঁদাপানিতে ডুবে থাকা মসজিদে যাওয়ার রাস্তা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের কুটিপাড়ার রাস্তাটি এখন গ্রামবাসীর ভোগান্তির স্মারক। বছরের ১২ মাসের মধ্যে ৬ মাস কাঁদাপানিতে সয়লাব থাকে। ফলে গ্রামবাসীর কষ্টের সীমা থাকে না। পাড়ার সকল মানুষকে এই কাঁদাপানি ভেঙেই প্রতিদিন প্রধান সড়কে উঠতে হয়। তাছাড়া, কাঁদাপানি নিমজ্জিত এই রাস্তাটির মাঝামাঝি স্থানে মসজিদ অবস্থিত। ফলে এলাকার সকল মুসুল্লিকে এক হাঁটু কাঁদাজল ভেঙে দিনে ৫ বার মসজিদে যেতে হয়। ফলে এই রাস্তাটি এখন গ্রামের মানুষের জন্য ভোগান্তির অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই কষ্টকর বিড়ম্বনা থেকে রেহায় পেতে গ্রামবাসী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে অনেক ধরণা দিয়েছেন। কাজ হয়নি। কথা দিলেও সে কথা দ্রুত ভুলেছেন সবাই। ভোট যায় ভোট আসে সেই সাথে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতির সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে কারও আন্তরিকতা দেখতে পাননি সাধারণ গ্রামবাসী। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন পাশের পারকুলা গ্রামের সন্তান ঢাকা মিরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শেখ আশাদুল হক মিকা। তিনি রাস্তাটি যাতায়াত উপযোগী করতে এগিয়ে আসেন। এছাড়াও তিনি পারকুলা ও পাইকপাড়া গ্রামের আরও ৭-৮টি দুর্দশাগ্রস্ত রাস্তার আংশিক মেরামত করেছেন।

পারকুলা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মোদাজ্জেল খান বলেন, এক হাঁটু কাঁদাপানি ভেঙে মসজিদে যেতে হতো, কেউ অসুস্থ হলেও সহজে আলমডাঙ্গা শহরে নিয়ে যাওয়া যেতো না। মিকা রাস্তা ভালো করে দেয়াতে অনেক উপকার হয়েছে। রাস্তাটা ঠিক করে দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে অনেক মিনতি করেও কাজ হয়নি। এখন মনে হচ্ছে মিকার মতো কেউ চেয়ারম্যান হলে ভালোই হতো।

আলহাজ্ব শেখ আশাদুল হক মিকা বলেন, আল্লাহ আমাকে এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করার মানসিকতা দিয়েছেন। সেই মানসিকতা নিয়েই এলাকায় কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। ৬-৭টি রাস্তা চলাচলের উপযোগী করেছি। তাছাড়া কালিদাসপুর ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেকটি মসজিদে আমার কম বেশি সহযোগিতা আছে। আল্লাহতায়ালা সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়নে শরিক হতে চায়।

Comments (0)
Add Comment