আলমডাঙ্গা পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক আতিয়ার রহমানের বিদায় সংবর্ধনা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জুলাই রবিবার বিদ্যালয়ের হলরুমে আবেগঘন পরিবেশে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান শিক্ষকতা পেশায় অতিবাহিত করেছেন ৩৬ বছর ৬ মাস ২৭ দিন। ১ জানুয়ারি ১৯৮৯ থকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ পর্যন্ত বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ থেকে ২৭ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। সহকারী শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান শিক্ষকতা করেছেন ২৮ বছর ৬ মাস ২৬ দিন। দীর্ঘ এই কর্মজীবনে তাঁরা শত শত শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলেছেন আদর্শ নাগরিক হিসেবে। বিদ্যালয়, সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনে রেখে গেছেন অমøান দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পক্ষে পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আশরাফুল আলম, বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক আতিয়ার রহমান, নবাগত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাসিনুর রহমান।
প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও আতিয়ার রহমানের বিদায়ী মানপত্র পাঠ করেন মেহেনাজ মৌমি ও শর্মী ইসলাম। সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমানের উপস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মৃতিচারন মুলক বক্তব্য রাখেন ১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিয়া খাতুন ও জান্নাতুল মাওয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল আলম, নজরুল ইসলাম, সমীর কুমার সাহা, কাবিরী সুলতানা, আলী কদরসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আবেগ আপ্লুত হয়ে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, “এই বিদ্যালয় শুধু কর্মস্থল নয়, ছিল আমার আত্মার সঙ্গে মিশে থাকা এক পরিবার। এখানকার প্রতিটি মুখ, প্রতিটি স্মৃতি আমি সারাজীবন বয়ে বেড়াবো।”আমি কখনোই আপনাদের ভুলতে পারবো না। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।”
সহকারী শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা ও সহকর্মীদের সহযোগিতা আমাকে সবসময় প্রেরণা দিয়েছে। এই বিদায় শুধু দেহগত, মন থেকে নয়।”বিদায়ের এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে এই বিদ্যালয় আমার দ্বিতীয় পরিবার ছিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, মানপত্র ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেওয়া হয়।
বিদায় অনুষ্ঠান শেষে পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিদায়ী প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান প্রতিষ্ঠানের সকল কাগজপত্র ও দায়িত্ব নবাগত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের হাতে তুলে দিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষককের চেয়ায়ে বসিয়ে দেন।