নাটুদা প্রতিনিধি: আষাঢ় পড়তেই বদলে গেছে প্রকৃতির রঙ। দিনের পর দিন আকাশে জমে আছে গাঢ় কালো মেঘ। কখনো থেমে থেমে, কখনো টানা মোটা ফোঁটায় নেমে আসছে বৃষ্টি। এমন দৃশ্য এখন প্রতিদিনের। ভোর থেকে মধ্যরাত আকাশের মুখে যেন গম্ভীর ভাব। বৃষ্টির সাথে সাথে বাতাসের ভেজা গন্ধ। প্রকৃতির এমন রূপ অনেকের কাছে রোমান্টিকতা ছড়ালেও, বাস্তবে এতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে জনজীবনে। বিশেষ করে কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে অতি কষ্টে ফলানো নানা প্রকার সবজি চাষ।
দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা ইউনিয়নের সবজি চাষি আবুল হোসেন ও কালু মিয়া বলেন, এভাবে যদি আকাশে সারাক্ষণ মেঘ জমে থাকে আর বৃষ্টি চলতেই থাকে, তবে জমির সমস্ত সব সবজি শেষ হয়ে যাবে। পানি জমে পচে যাচ্ছে গাছের গোড়া। যেমন পটল, বেগুন, ঝিঙ্গা, লাউ, কলাসহ অনেক মৌসুমি সবজির ক্ষেত ইতোমধ্যে পানির নিচে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও রোদ না থাকায় পাতা ও গাছে রোগ বালাইয়ের আক্রমণও বাড়ছে। পক্ষান্তরে শুধু কৃষক নয়, এই দীর্ঘকালীন বৃষ্টিতে নাকাল সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সকাল হলেই আকাশের কালো মেঘ যেন জানান দেয় আজও রোদ উঠবে না। ফলে ঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানো, স্কুল কলেজে যাওয়া বা জরুরি কাজে বের হওয়া এখন সবই হয়ে উঠছে কষ্টসাধ্য। নাটুূদা ইউনিয়ন কৃষিবিদরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনই এর পেছনে মূল কারণ। এমন অস্বাভাবিক ধারার বর্ষা আগে তেমন দেখা যেত না। আবহাওয়ার এমন চিত্র সামনে আরও দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।