উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা

হাসমত আলী: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এ ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর। ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচন হওয়ায় প্রচারণার কৌশলও ভিন্ন আঙ্গিকে হচ্ছে। তবে দলের মধ্যেই রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী। আর বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়েই দলের মনোনীত প্রার্থী বিপাকে এবং চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। দল থেকে মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাজ করতে কেন্দ্রীয়ভাবে কঠোর নির্দেশনা দিলেও তা মানছে না দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউপিতে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন মো. কাফি উদ্দীন টুটুল (প্রতীক নৌকা), বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন মো. কামাল হোসেন (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান সরফরাজ উদ্দীন (আনারস প্রতীক) এবং জাকেরপার্টির প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন- জামায়াত সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সরফরাজ আলী। নিজের অবস্থান তিনি মজবুত করেই রেখেছেন। জামায়াত নেতাকর্মীদের একনিষ্ঠতা সরফরাজ আলীকে চাঙ্গা করে তুলেছেন। নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন জামায়াত নেতা সরফরাজ আলী। তবে ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। আওয়ামী-লীগ নেতা কাফি উদ্দীন টুটুল দলের সমর্থন নিয়েই মাঠে রয়েছেন। ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখতে তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করবেন বলে জানিয়েছেন মো. কাফি উদ্দীন টুটুল।
নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচনের মাঠ চষছেন তিনি। কামাল হোসেন বলেন, আমি চেয়াম্যান নির্বাচিত হলে কুড়–লগাছি ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন গড়ে তুলবো এবং রাতদিন মানুষের সেবা করবো এবং জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আক্তার হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক। স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচিন মাঠে কাজ করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৫শত ৯৬ ভোট। পুরুষ ১১ হাজার ৯শত ৪২ ভোট ও মহিলা ১১ হাজার ৬শত ৫৪ ভোট।
৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটযুদ্ধে মাঠে থাকলেও মূল লড়াই হতে পারে দ্বিমুখি। প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে নানামুখি কৌশল অবলম্বন করছেন। দোয়া ও ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি উন্নয়নের বুলি ও প্রতিশ্রুতি দিতে কম নেই কারো।
এদিকে ইউনিয়নের ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসন ১, ২, ৩, ৮নং ওয়ার্ডে বেলী খাতুন (জিরাপ), রহিমা খাতুন (তালগাছ), আফতাহারু নেসা লজেন (বক), লিপি খাতুন (সুর্যর্মখী), আলেয়া খাতুন (হেলিকাপ্টর) প্রতীক। সংরক্ষিত ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের পানছুরাতন (হেলিকাপ্টার), রেহেনা খাতুন (তালগাছ) এবং ফাহিমা খাতুন (বগ) প্রতীক। সংরক্ষিত মহলিা ৪, ৯ ও ৭নং ওয়ার্ডে পলিমা (তালগাছ), লালবানু (মাইক), নাজমা খাতুন (হেলিকাপ্টার) এবং নাজমা খাতুন (বক) প্রতীক এবং ৯টি ওয়ার্ডেও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মো. আজাহার আলী (তালা), আমিনুল ইসলাম (মোরগ), মিজানুর রহমান (টিউবওয়েল), শাহাজান আলী (ঘুড়ি) এবং ফরজ আলী (ফুটবল) প্রতীক। ২নং ওয়ার্ডে আবু ছিদ্দিক (মোরগ), রেজু আহম্মদ (ফুটবল), মতেহার হোসেন (টিউবয়ের) এবং জাহাঙ্গীর আলী (তালা) প্রতীক। ৩নং ওয়ার্ডে মো. কামরুজামান রিপন (ফ্যান), জাহাঙ্গাগীর আলম (ভ্যান), আব্দুল করিম (ফুটবল), আহসান হাবিব (মোরগ), বকুল আহম্মদ (আপেল), আশরাফুল হক (তালা) এবং বশির আহম্মদ (টিউবওয়েল) প্রতীক। ৪নং ওয়ার্ডে ফরাদ হোসেন (ফুটবল), নাজিম উদ্দীন (ফ্যান), শফিকুল ইসলাম (মোরগ) এবং লিটন আহম্মদ (টিউবওয়েল) প্রতীক। ৫নং ওয়ার্ডে ইমরান নাজির দিপু (মোরগ), আশারাফুল হক (ফুটবল), নাসির উদ্দীন (টিউবওয়েল) প্রতীক। ৬নং ওয়ার্ডে আব্দুল খালেক (ফুটবল), আবুল কাসেম (টিউবওয়েল), তোফায়েল আহম্মদ (তালা) এবং বাবুল আক্তার (মোরগ) প্রতীক। ৭নং ওয়ার্ডে আশাদুল হক (ফ্যান), হারুণ অর রশিদ (মোরগ), ওয়াসকরুনি (টিউবয়েল), ইসলাম আলী (তালা) এবং ইয়ানবী (ফুটবল) প্রতীক। ৮নং ওয়ার্ডে রাশেদুজামান হীরো (ভ্যানগাড়ি), শামসুল হক (টিউবওয়েল), নুরুল ইসলাম (মোরগ, জিল্লুর রহমান (ফ্যান) এবং মহাম্মদ আলী (ফুটবল) প্রতীক। ৯নং ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দীন (তালা), দেলোয়ার হোসেন বিপু (মোরগ), আব্দুল করিম (ফুটবল), কাউজার (ভ্যানগাড়ি), হারুন অর রশিদ (টিউবওয়েল) এবং সবুর আলী (ফ্যান)। ৯টি ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীরা প্রচারণার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে নানামুখি কৌশল অবলম্বন করছেন। দোয়া ও ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি উন্নয়নের বুলি ও প্রতিশ্রুতি দিতে কম নেই কারো।

Comments (0)
Add Comment