কুষ্টিয়ায় ৫২ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনায় চিনিকল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ৫২ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনায় কুষ্টিয়ায় চিনিকল পরিদর্শন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। সোমবার পাঁচ সদস্যের কমিটি কুষ্টিয়ার জগতি এলাকায় অবস্থিত চিনিকলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তদন্ত করে। এ সময় চিনিকলে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও সিবিএ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর আগে রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন) শিবনাথ রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুষ্টিয়া চিনিকলের রেস্টহাউসে যান। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএসএফআইসি) মুহা. আনোয়ারুল আলম, বিএসএফআইসির প্রধান (পরিকল্পনা) আইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প হিসাব) ইলিয়াছ শিকদার ও ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (ইআর) হামিদুল ইসলাম। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আদেশে গত শনিবার এই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে জগতি এলাকায় চিনিকলের প্রধান ফটকের সামনে গেলে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা সাংবাদিকদের আটকে দেন। তারা জানান, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে ভেতরে কোনো সাংবাদিক আজ প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি সেখানে সাবেক এক কর্মচারী নাজিম উদ্দীন প্রবেশ করতে গেলে তাঁকেও নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিয়ে ফেরত পাঠান। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে যোগাযোগ করা হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাকিবুর রহমান খান বলেন, ভেতরে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এ জন্য প্রবেশ নিষেধ। বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শিবনাথ রায় বলেন, তদন্তে যদি চিনি নিয়ে অসংগতির সত্যতা পাওয়া যায়, তবে এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় মিলের ভান্ডার শাখার দুজন স্থায়ী পোর্টারকে কৈফিয়ত দিতে তলব করেছেন মিলের এমডি। দুজন হলেন রাহাতুল ইসলাম ও সোহেল রানা। সোমবার দুপুরে পাঠানো কৈফিয়ত তলব চিঠিতে বলা হয়েছে, ভান্ডারের পোর্টার ভান্ডারে রক্ষিত চিনি রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্ব পালন করেন। চিনিঘাটতিতে প্রতীয়মান হয় যে দায়িত্ব পালনে তাদের অবহেলা ও উদাসীনতা ছিলো। সাত দিনের মধ্যে তাদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গত বুধবার কুষ্টিয়া চিনিকলে ৫২ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুদামরক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে মিল কর্তৃপক্ষের তিন সদস্যের কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

 

Comments (0)
Add Comment