কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন

শ্রমিক ছাটাইয়ের জন্য ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ দায়ী নন

দর্শনা অফিস: চলতি আখ মাড়াই মরসুমে কেরুজ চিনিকলে সেটাপ বহির্ভুত ৪২ জন দিন হাজিরা শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়েছে। দুটি কর্মসূচিতেই কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়। এরই প্রতিবাদে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে দর্শনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান অভিন্ন ভাষায় বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কেরুজ চিনিকল। এলাকার বেকার ছেলেগুলো কাজের বিনিময়ে উপার্জন করুক এ রকম ভাবনা নিয়েই মিলের বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। প্রতিবারই কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যিনিই যোগদান করেন, বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাকে ম্যানেজ করেই দিন হাজিরার ওই অস্থায়ী শ্রমিকগুলোর চাকরি টিকিয়ে রাখতে লড়াই করেছি আমরাই। মাত্র ৬০ টাকা দিন হাজিরা থেকে ২৫০ টাকায় টেনে আনতে বহু দৌড়ঝাপ করতে হয়েছে। দারস্ত হতে হয়েছে কত নেতা-মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের। কারও কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নয়, ভালোবাসার টানেই এ কাজগুলো করেছি। যাদের জন্য এত সংগ্রাম করলাম আজ তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে, করছে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন। বক্তব্যে তারা আরও বলেন, শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ/ নিয়োজন ও বদলীর সর্বময় ক্ষমতা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। তবুও যাদের ছাটাই করা হয়েছে, তাদের কাজ ফিরিয়ে দিতে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে চুয়াডাঙ্গার দুজন সংসদ সদস্যের সুপারিশ করা হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। হয়তো অল্পদিনেই আমরা সফলতার মুখ দেখতে পাবো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈয়ব আলী ও মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬টি মিলের আখ মাড়াই বন্ধ করা হয়েছে। সেটাপ বহির্ভুত সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে কেনো এ দ্বায়ভার আমাদের ওপর দেয়া হচ্ছে? সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বর্তমান পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক খবির উদ্দিন, শ্রমিক নেতা সাবু তরফদার, বাবর আলী, সাহেব আলী শিকদার, ইয়ামিন হক মিন্টু, শফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, এসএম কবির প্রমুখ। সাংবাদিকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাবেক সভাপতি হানিফ ম-ল, ইকরামুল হক পিপুল, এফএ আলমগীর, মনিরুজ্জামান সুমন, সাব্বির আলীম, ওয়াসিম রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাধন, ইমতিয়াজ রয়েল, আবিদ হাসান রিফাত, আ. হান্নান প্রমুখ।

 

Comments (0)
Add Comment