কোটচাঁদপুরে পুলিশ পরিচয়ে বিধবা নারীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পুলিশ পরিচয়ে তানিয়া খাতুন (৩০) নামে এক বিধবা নারীর নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক নিজেকে কোটচাঁদপুর মডেল  থানার এসআই শফিক পরিচয় দিয়ে বিধবা ওই নারীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা যায়। উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের মরুটিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুন জানায়, গত রোববার (১৭এপ্রিল) থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ করি। একদিন পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন (মেম্বার) আমার বাড়িতে এসে দারোগার কথা বলে মোবাইল নাম্বার দিতে বলে। আমি মেম্বারের কাছে মোবাইল নাম্বার দেয়ার কিছুক্ষণ পর (০১৩০৭-৭২৫৮১০) নাম্বার থেকে একটি কল আসে। ফোনে কথা বলা লোকটি নিজেকে মডেল থানার দারোগা পরিচয় দেয়। থানায় আমার অভিযোগ সর্ম্পকে জানিয়ে বলে, চিন্তা করেন না পুলিশ বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের সঠিক বিচার করবে। এসময় তিনি ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই নারী ৫শ টাকা দিতে রাজি হলে তিনি অভিযোগের কোনো কাজ হবে না বলে জানায়। পরে পুলিশের দারোগা পরিচয় দেয়া প্রতারক ওই নারীর নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা এই নাম্বারে (০১৭৫৯-০২৮৩২১) বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে তিনি জানতে পারেন এই নামে কোনো পুলিশের দারোগা সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়। এতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। বিধবা নারী বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আমি। আমার জাহিদ (১২) সামিয়া (৩) বছরের দুটি শিশু সন্তান আছে। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি। শ্বশুরবাড়ি গেলে নির্যাতন করে। যার কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এরই মধ্যে পুলিশ পরিচয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিধবা তানিয়া। এবিষয়ে মেম্বার ফারুক হোসেন বলেন, শফিক নামে একজন থানার দারোগা পরিচয় দিয়ে তানিয়ার অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে জানতে চান। পরে তিনি তানিয়ার মোবাইল নাম্বার চান। আমি তার বাড়িতে গিয়ে তার ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে দিই। এরপর শুনলাম বিধবা তানিয়ার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে তানিয়ার অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই কামাল এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওসি স্যার তদন্তের জন্য আমার ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমি উভয়ের বাড়িতে গিয়েছি। আগামীকাল দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় মিমাংসার কথা আছে। এখন আবার শুনছি থানার দারোগা পরিচয় দিয়ে ওয়ার্ড মেম্বার ফারুকের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ফোন নাম্বার নিয়ে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে। ইতোমধ্যে নাম্বারটা ট্রাক করে গাইবান্ধার এক বিকাশ এজেন্টের নম্বর দিয়ে টাকাটা তুলে নিয়েছে প্রতারক চক্র।

Comments (0)
Add Comment