খলিল মোল্লার চুরির সংবাদে হতবাক জীবননগরবাসী

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের রিসিভসন থেকে এক মহিলার টাকাভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে সটকে পড়া খলিল মোল্লা অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সংবাদে হতবাক হয়েছে জীবননগরবাসী। জীবননগর বাজারে এখনও তিনি একজন বড় মাপের ভূষিমালের ব্যবসায়ী। শহরের সুবলপুর মোড়ে তার চলমান মিল-চাতাল রয়েছে। রয়েছে কালীগঞ্জ সড়কে আড়ত। কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের তিনি ছিলেন এক ডিলার। সেই খলিল মোল্লা কোন লোভ থেকে এমন চুরির ঘটনা ঘটালো সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে। খলিল মোল্লার মতো মানুষের নিকট যদি নারীর একটি ভ্যানিটি ব্যাগ নিরাপদ না থাকে তবে মানুষ কাকে বিশ^াস করবে এমন নানা প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষের মনে।

জীবননগর উপজেলার বকুন্দিয়া গ্রামে হাজি মহাসিন আলী মাস্টারের ছেলে খলিলুর রহমান মোল্লা প্রায় ৪২ বছর ধরে জীবননগর শহরে ভূষি মালের ব্যবসা করে আসছেন। তবে তিনি নানা কারণে আলাচিত-সমালোচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের ডিলার ছিলেন। শহরের সুবলপুর মোড়ে তার রয়েছে মিল-চালাত। প্রতিদিন তার মিলে প্রচুর পরিমাণে ধান-গমসহ বিভিন্ন খাদ্য শষ্য ভাঙানো হয়। সেই খলিল মোল্লা বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট যান একটি মামলার বিষয়ে খোজঁখবর নিতে। চলে আসার সময় রিসিভসনে রাখা এক মহিলার টাকা ভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগটি তিনি কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে জীবননগর চলে আসেন। ওই নারী পুলিশ সুপারের নিকট বিষয়টি জানালে এসপি জাহিদুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ দেখেন এবং চোর শনাক্ত করেন। তিনি ডিবিসহ জীবননগর থানা পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে বিপদ আঁচ করতে পেরে খলিল মোল্লা ১৬ হাজার ৫শ’ টাকাসহ ব্যাগটি জীবননগর থানায় ফিরিয়ে দেয়াকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তাকে গ্রেফতারের পর জীবননগরবাসী তার কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছেন। কোন লোভ-লালসা থেকে এ বয়সে তিনি এমন একটি কাজ করলেন সেটা আলোচনা করতে গিয়েই হতবাক হয়েছে জীবননগরবাসী। এলাকাবাসীর প্রশ্ন খলিল মোল্লার মতো মানুষ যদি একজন নিরাপদ মানুষ না হতে পারে তবে মানুষ কার ভরসা করবে?

Comments (0)
Add Comment