গাংনীতে ভাতা কার্ডে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্র আবারও সক্রিয়

গাংনী প্রতিনিধি: সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য ভাতা কার্ড তৈরি করার নামে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি আবারও তারা সক্রিয় হয়েছে। ৫-১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব দরিদ্র মানুষের কার্ড তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। ঋণ করে কার্ড তৈরির টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। এমনই এক ভুক্তভোগী গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের মিনারুল ইসলাম। বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের কার্ডের জন্য গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা উমেদ আলী ৯ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, জালশুকা গ্রামের রবগুল ও তার স্ত্রী বয়স্ক বৃদ্ধ। তাদের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড তৈরির জন্য ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের কাছে যায় তার ছেলে মিনারুল ইসলাম। গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে আসার জন্য তাকে পরামর্শ দেন ছিদ্দিক। পরে গ্রামের আনারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা উমেদ আলীর দ্বারস্থ হন মিনারুল ইসলাম। ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে কার্ড দিতে রাজি হন উমেদ আলী। দরিদ্র বয়স্ক মানুষের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় এমন আকুতি জানালে দুই হাজার টাকা কম নিতে রাজি হন আনার। তবে বাবা ও মায়ের এক সঙ্গে কার্ড হবে না। তাই মায়ের কার্ড তৈরির জন্য ৫ হাজার টাকা উমেদ ও আনার গ্রহণ করেন মিনারুলের কাছ থেকে। বাকি টাকা পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মিনারুল।
টাকা দিয়ে কেন কার্ড নিতে হবে এমন প্রশ্নে ভুক্তভোগী মিনারুল ইসলাম জানান, টাকা ছাড়া তো কোনো ভাতার কার্ড হয় না। গ্রামের যাদেরই কার্ড হয় তারা এভাবে টাকা দেয়। টাকা না দিলে কেউ কার্ড দিতে রাজি হয় না। বৃদ্ধা মায়ের ভালোর কথা চিন্তা করে টাকা দিয়েছি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে উমেদ আলী ও আনারের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, ভাতা কার্ড প্রদানের কোনো প্রকার টাকার দরকার হয় না। তবে কিছু মানুষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে শোনা যায়। এ বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ কেউ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।

Comments (0)
Add Comment