গাংনীতে হেযবুত তওহীদ কর্মী জিয়া গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (৩২) নামের এক হেযবুত তওহীদের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে তাকে তার নিজ বাড়ি বামন্দী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওলামা পরিষদের সদস্যদের ওপর হামলা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলে হেযুবত তওহীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে গাংনীতে মতবিনিময়সভা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন কাজিপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির (৩২) ও নওদাপাড়া গ্রামের রতন আলী (২১)। তারা নিশিপুর হেযবুত তওহীদের মসজিদের সামনে পৌঁছুলে হিজবুত তাওহীদের ২০-২৫ জন কর্মী অতর্কিত হামলা চালায় ও বেধড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাভুক্ত আসামি হওয়ায় জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে হেযুবত তওহীদের কর্মীদের এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় ওলামা মাশায়েখদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। হেযুবত তওহীদের কুফরি কর্মকা- বন্ধের দাবি নিয়ে তারা আবারও আন্দোলনে যাবে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে হেযবুত তওহীদের ঈমাম গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশ নেয়। তাদের সংগঠনের কার্যক্রম কুফরী কার্যক্রম আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবি জানান উলামা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এর জেরে শুক্রবার বিকেলে গাংনী দারুচ্ছালাম জামে মসজিদে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সভায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ওলামা পরিষদ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় হেযুবত তওহীদের কর্মকা- বন্ধের দাবি জানান। এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে বাড়ি ফেরার পথে উলাম পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ক্ষোভ শুরু হয় উলামা মাখায়েখদের মনে।

 

Comments (0)
Add Comment