চুয়াডাঙ্গার একুশে পদকপ্রাপ্ত খোদা বকশ শাহের ৯৪ তম জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার: উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী কবি বাউল সুর সাধক একুশে পদকপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার মরহুম খোদা বকশ শাহের ৯৪ তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে আজ বুধবার মরহুমের আলমডাঙ্গার জাহাপুর গ্রামের নিজ কুঠিবাড়িতে সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করা হবে। মরহুম খোদা বকশ শাহের ছেলে শিল্পী বাউল আব্দুল লতিফ শাহ সকলের কাছে বাবার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
খোদা বকশের আসল নাম খোদা বকশ বিশ্বাস। তার পিতার নাম মুহম্মদ কফিলউদ্দিন বিশ্বাস। বিশ্বাস হচ্ছে তাঁদের বংশগত পদবি। ফকিরি পোশাক (খেরকা-খেলাফত) ধারণের পর খোদা বকশ বিশ্বাসের নাম হয় ‘খোদা বকশ শাহ’।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কবরজাহাপুর গ্রামে ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৮ খ্রি.) ৩০ চৈত্র মরমী কবির জন্ম হয়। কবরজাহাপুরের পার্শ্ববর্তী ঘোলদাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি লেখাপড়া করেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তার ছাত্রজীবন শেষ হয়ে যায়। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত যাত্রাদলে তার সঙ্গীত জীবন অতিবাহিত হয়। সতেরো বছর বয়সে খোদা বকশ ভাবসঙ্গীত শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৭৬ সালে খোদা বকশ ফকিরি পোশাক গ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালের ৯ জুন খোদা বকশ শাহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে যোগদান করেন। এখানে তাকে লালন-সঙ্গীতের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমী খোদা বকশ শাহকে বাংলা একাডেমীর ‘ফেলো’ পদ প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত লালন স্গংীত শিল্পীরুপে স্বীকৃতি পান। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লালন-সঙ্গীত বিশারত হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৮৯ সালের শেষ দিকে খোদা বকশ শাহ ভীষন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ (১৯৯০ সালের ১৫ জানুয়ারি) ১ মাঘ খোদা বকশ শাহ ইহলোক ত্যাগ করেন। তিরোধানের পর দেশের নানান সংস্থা খোদা বকশ শাহের মূল্যায়নের চেষ্টা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯১ সালে খোদা বকশ শাহকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে। প্রখ্যাত এ সাধক সাড়ে ৯ শত গান রচনা করেছেন।

Comments (0)
Add Comment