চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে কুমারীর কোলে ৬ মাসের পুত্রসন্তান : অভিযুক্তের সাথে মেলেনি ডিএনএ

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে কুমারী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় আবু সাঈদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণ মামলা। দর্শনা থানা পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। সেই থেকে আবু সাঈদ এখনও রয়েছে জেলহাজতে। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ঢাকা থেকে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে আবু সাঈদের সাথে মেলেনি বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান। জনমনে প্রশ্ন কুমারী মেয়ের কোলে ৬ মাসের শিশুসন্তান বাদশার পিতা কে?
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি গ্রামের উত্তরপাড়ার হাশেম আলীর কলেজপড়–য়া ছেলে আবু সাঈদ (২১) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হতদরিদ্র প্রতিবেশির কুমারী মেয়েকে (১৩) ধর্ষণ করে। এতে করে কুমারী মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। এমন অভিযোগ তুলে মেয়েটির মা বাদী হয়ে গত বছর ১২ নভেম্বর দর্শনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কুমারী মেয়ের ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডও করে পুলিশ। সেই থেকে (১০ মাস ২৩ দিন) গ্রেফতারকৃত আবু সাঈদ জেল হাজতেই আছেন। এদিকে আসামির আইনজীবি কুমারী মেয়ের অনাগত সন্তান আবু সাঈদের নয় মর্মে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৪ জুন ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, ১ সেপ্টেম্বর ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে কুমারী মেয়ের সন্তানের সাথে আবু সাঈদের ডিএনএ’র সাথে মেস করেনি। এদিকে গত ৮ মার্চ কুমারী মেয়েটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে শিশু সন্তান বাদশার বয়স ৬ মাস। জনমনে প্রশ্ন তাহলে শিশু পুত্র বাদশার পিতা কে?

Comments (0)
Add Comment