চুয়াডাঙ্গার দোস্তে পাওনাদারদের রোষানলে ভুট্টা ব্যবসায়ী রফিকুল

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভুট্টা বিক্রেতাদের টাকা পরিশোধ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে টালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে দর্শনার বিশিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ভুট্টা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। চুয়াডাঙ্গার দোস্ত ও হিজলগাড়ি বাজার এলাকার পাওনাদাররা সন্ধ্যান পেয়ে তাকে দোস্তবাজারে আটকিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠায়। পাওনাদারদের অভিযোগে জানা গেছে, দর্শনা মোবারকপাড়ার মৃত আজাহারের ছেলে দর্শনা রেলইয়ার্ডের বিশিষ্ট সিএ্যা-এফ এজেন্ট ও ভুট্টা ব্যবসায়ী মেসার্স এমআর ট্রেডিং অ্যা- রিফাতের প্রোপাইটার রফিকুল ইসলাম। তিনি এলাকার ভুট্টা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মরসুম এলে ভুট্টা ক্রয় করে থাকেন। গত দু’বছর আগে ভুট্টা কেনাবেচার শেষ মুহূর্তে এসে কিছু ব্যবসায়ীর টাকা আটকিয়ে দেয়। পাওনাদারদের মধ্যে আছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রোনগোহাইল গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল হক ৩৫ হাজার ২শ’ টাকা, একই পাড়ার সামসুল বিশ্বাসের ছেলে বাবুল আক্তার ২২ হাজার ২১৭ টাকা, কৃষ্ণপুর বোয়ালমারী গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম ৮৬ হাজার ২শ টাকা। পাওনাদাররা বলেন, আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে টালবাহানা করে আসছে। তার অফিসে গেলে চোখরাঙ্গানি দিয়ে সময় নেয়। আমাদের টাকার জন্য রফিকুল কতবার যে সময় নিয়েছে তার ইয়তা নেই। রোববার বিকেল ৫টার দিকে দোস্তবাজার হয়ে দর্শনায় যাচ্ছে জানতে পেরে তাকে আটক করি। খবর পেয়ে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের সদস্যরা এসে আমাদের কথা শোনে এবং বিষয়টি ওসি সাহেবের নলেজে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। একটি সূত্র জানিয়েছে শুধু এই পাওনাদাররাই না অনেক পাওনাদারকেই টাকার বিপরীতে চেক দিয়েছে। এনিয়ে দর্শনা থানায় অনেক দেনদরবারও হয়েছে। শেষমেষ পাওনাদারকের পাওনা টাকা থেকে কম দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে রফিকুল। এটা তার কৌশল। দোস্ত বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, এই টাকার জন্য পাওনাদাররা কয়েক জোড়া সেন্ডেল ক্ষয় করেছে। এটা কোনো ব্যবসায়ীর লেনদেন হতে পারে না। হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি ছবেদ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যবসায়ীদের কথা শুনি এবয় ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে রফিকুলে উদ্ধার করি। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ভুট্টা ব্যসায়ীদের সমুদয় টাকা শহিদুল কাজির মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছি। সে দেয়নি। তারপরও বিষয়টি মীমাংসা করে নিয়েছি।

Comments (0)
Add Comment