চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম মন্ডলের বিরুদ্ধে ড্রেজার দিয়ে সমতল জমিতে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে গোপালনগর গ্রামের ২২জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়েছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম ম-ল পদ্মবিলা ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের গবরার ও নলগাড়ীর বিলের মধ্যে মৃত সমসের ম-লের ছেলে চান আলী ও ফান আলী, মৃত নুরবক্স ম-লের ছেলে কাতব আলী ও ডোমচারা গ্রামের বাচ্চুর কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। সমতল জমিতে বালু উত্তোলন ও ইটভাটার মাটি বিক্রি করা যাবে না মর্মে সরকারের নির্দেশনা থাকলে পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যহার করে সমতল ভূমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। যার ফলে বালু উত্তোলনের গর্তের পাশের আবাদী জমিগুলো বালুগর্তে বিলীন হয়ে যাবে এবং মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষকেরা। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের খেজুরা গ্রামের নিচে নবগঙ্গা নদীতেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন চেয়ারম্যান আলম ম-ল। এর ফলে আশেপাশের জমি ও ঘরবাড়ী নদীর মধ্যে বিলীন হবে বলে অভিযোগ করেছে খেজুরা গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আলম ম-লের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। যারা অভিযোগ করেছে তারা কেউ জানেন না। এছাড়াও তারা কেউ ওই মাঠের কৃষক নয়। বর্তমান সরকারের সময় পদ্মবিলা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। সে কাজে বালুর দরকার। ওই সকল কাজে বালু সরবরাহের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মৌখিক অনুমতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান যদি বালু উত্তোলন করে থাকে তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Comments (0)
Add Comment