চুয়াডাঙ্গার পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত অটো চার্জার স্টেশন

আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা চার্জার স্টেশন বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যত্রতত্র ব্যাটারি চার্জার স্টেশন/গ্যারেজ গড়ে তোলা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকায় একের পর এক এসব ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় জনমনে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ায় সদ্য গড়ে তোলা বিশাল চার্জার স্টেশন/গ্যারেজ স্থাপন বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে প্রতিকার প্রার্থনার আবেদন দিয়েছে এলাকাবাসী। তারপরও থামেনি তাদের কার্যক্রম। এমনকি এলাকাবাসীর বিপক্ষে পাল্টা আবেদনে স্বাক্ষরের পাঁয়তারা শুরু করেছে জনৈক মঞ্জু ও হামিম।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ঈদগাঁর ১নং গেটের পূর্বদিকে দক্ষিণ গোরস্থানপাড়ায় প্রাচীর বেষ্টিত ইখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার বাড়ি করা জমি জনৈক মঞ্জু (ওয়েলডিং মিস্ত্রি) কাছে দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা দেন। সেখানে মঞ্জু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজিবাইক চার্জার স্টেশন/গ্যারেজ স্থাপন কাজ শুরু করেন। প্রায় শতাধিক ইজিবাইক চার্জের ব্যবস্থা রেখে গড়ে তুলছেন বিশাল চার্জার স্টেশন। কাজের শুরুতেই এলাকাবাসী বাধ সাধে। তাতে কর্ণপাত করেনি গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ। দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু এলাকাবাসীর আবেদনের কারণে আবাসিক এলাকায় হওয়ায় ইজিবাইক চার্জার স্টেশনে বিদ্যুত সংযোগ দেয়নি ওজোপাডিকো। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর বিপক্ষে পাল্টা আবেদনে স্বাক্ষরের পাঁয়তারা শুরু করেছে গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ। অনলাইন ভিত্তিক কয়েকজন হলুদ সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে অর্থ বাণিজ্য শুরু করেছেন। তবে গ্যারেজ মালিকের মায়াকান্না আর আর্থিক ক্ষতির বিষয় তুলে এলাকাবাসীর সহানুভূতি গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে গ্যারেজ মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে রয়েছে চিৎলা হাসপাতালের ল্যাব-টেকনিশিয়ান কথিত ডা. পরিচয়দানকারী হামিম আহম্মেদ সোহেল। একইপাড়ার ৩০/৪০ গজ দূরে পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাজানের বাড়ির কোলঘেষে রয়েছে দুদুলের জমিতে রজবের ইজিবাইক চার্জার স্টেশন। প্রতিদিন ১২/১৫টি ইজিবাইক গত প্রায় ২ বছর ধরে সেখানে চার্জ দেয়া হয়। হকপাড়ার তোতার বাড়িতে গ্যারেজ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি ইজিবাইক চার্জার স্টেশন তৈরির বিপক্ষে অবস্থান নিলে সেখান থেকে পিছু হাঁটেন তোতা। এছাড়া ঈদগাঁর ১নং গেটের কোলঘেষে ওবাইদুল মাস্টারের বাড়ির পাশে রয়েছে বৃহৎ গ্যারেজ। এখানে অর্ধশত অটোবাইক এখানে চার্জ দেয়া হয়। এসব বাইকে ব্যাটারির ঝাঝালো এসিডে গন্ধে একালাবাসী এমনিতেই অতিষ্ট।
এছাড়া ওই গ্যারেজে অভ্যন্তরে মাদক বিক্রির দায়ে সেই সময়কার গ্যারেজ মালিক এখনও জেলাহাজতে রয়েছে। এ অবস্থায় একই পাড়ায় একাধিক গ্যারেজ গড়ে ওঠায় পাড়ার পবিবেশ নষ্ট হবে। এমনকি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব চার্জার স্টেশন/গ্যারেজগুলো হতে বিদ্যুত সটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের আশঙ্কা রয়েছে। আবাসিক এলাকায় কোনো ধরনের ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অনুমতি নিতে হয় বাংলাদেশ পবিবেশ অধিদফতরের। তবে গ্যাসীয় বা ধোয়া সৃষ্টিকারী কোনো ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকায় করার অনুমতি দেয় না পবিবেশ অধিদফতর।

Comments (0)
Add Comment