চুয়াডাঙ্গার সরিষাডাঙ্গায় পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন : ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গার জিকে ক্যানেল সংলগ্ন পুকুরে বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার বালু উত্তোলন করা হচ্ছিলো মর্মে অভিযোগ ছিলো চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানের নিকট। বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা কয়েক দফা তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে গোপনে খোঁজখবর নেন। বালি উত্তোলনের ঘটনা সত্য হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে আর ভবিষ্যতে কোনো বালি উত্তোলন করা হবে না মর্মে মুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুচলেকা নেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের আদেশে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় স্ব-শরীরে ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে সরিষাডাঙ্গার আলাউদ্দীনের ছেলে রতনকে আটক করা হয় এবং বালু উত্তোলন মেশিন জব্দ করা হয়। মেশিনটি উদ্ধার করে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে পরবর্তীতে আর বালু উত্তোলন করবে না মর্মে মুচলেকায় স্বাক্ষর করে নেয়া হয়।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সরিষাডাঙ্গার জিকে ক্যানেল সংলগ্ন পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে সরকারি ক্যানেল ও পুকুরের পার্শ্ববর্তী চাষিদের আবাদী জমিগুলো ঝুঁকির মধ্যে আছে। যে কোনো সময় ক্যানেলের গাভী ও আবাদী জমি পুকুর গর্ভে ভেঙে পড়তে পারে। সদর উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ফলে সরকারি জিকে ক্যানেল ও জনগণের আবাদী জমি কিছুটা হলেও রক্ষা পেলো। এলাকাবাসী আরও বলেন, যাকে আসামি করা হয়েছে তিনি একজন কর্মচারী মাত্র। বালু উত্তোলন যেখানে করা হচ্ছে ওই জমির মালিক নাগদহ গ্রামের মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার রাজু। আর যে ব্যক্তি লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য নীলমনিগঞ্জ বাজারের সাজু মিয়া। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযাগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ ফোর্স।

 

Comments (0)
Add Comment