চুয়াডাঙ্গা বড়সলুয়া গ্রামের কলেজছাত্রী প্রতারণার শিকার : বিকাশে খোয়ালেন সাড়ে ১৬ হাজার টাকা

বেগমপুর প্রতিনিধি: দিনদিন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যত বিস্তার ঘটছে প্রতারকচক্রও নানা কৌশলে পাতছে ফাঁদ। চারিদিকে প্রতারকচক্র নানা বেশে জাল পেতে বসে আছে। কেউ প্রলোভনে পড়ে অথবা কেউ না বুঝে পা দিচ্ছে সেই ফাঁদে। তেমনি একজন চুয়াডাঙ্গা বড়সলুয়া গ্রামের কলেজছাত্রী তানিয়া আক্তার প্রতারকচক্রের প্রলোভনে পড়ে বিকাশের মাধ্যমে খুইয়েছেন সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। প্রতারণা নিয়ে প্রচার প্রচারণা থাকলেও লোভে পড়ে এমনটা ঘটছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে বড়সলুয়া নিউমডেল ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হিজলগাড়ী বাজারের বিকাশ এজেন্ট নজরুল চাল ভা-ারের দোকানে আসেন তিনি। দোকানদার আহম্মদ আলীকে ০১৬১৫৭৮৬৪৩৪ বিকাশ নাম্বারটি দিয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, সাড়ে ১৬ হাজার টাকা সেন্ডমানি করেন। যে কথা সেই কাজ। দোকানদার তানিয়ার কথামতো ওই নাম্বারে টাকাগুলো পাঠিয়ে দেন। বিকাশের পর টাকা চাইলে ঘটে বিপত্তি। কাচুমাচু করতে থাকে তানিয়া। দোকানিকে জানায়, আমার উপবৃত্তির টাকা এখনই এসে যাবে আপনার টাকা দিয়ে দিচ্ছি। বেলা গড়াতে থাকে তানিয়ার উপবৃত্তির টাকা আর আসে না। অবশেষে তানিয়া বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এদিকে তানিয়ার পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে আমি চুয়াডাঙ্গাতে থাকা অবস্থায় একটি মহিলা কণ্ঠে আমার কাছে ফোন আসে এবং বলে যশোর বোর্ড থেকে বলছি। আপনার মেয়ে তানিয়াকে বলেন, বাড়ির যে কোনো নাম্বার থেকে ফোন দিতে। শফিকুল ফোন দিয়ে মহিলা কণ্ঠের সেই নাম্বারটি তানিয়াকে দেয় এবং বিকাশের দোকানে যেতে বলেন। পিতার কথামতো তানিয়া প্রথমে বাজারের উজ্জ্বলের বিকাশের দোকানে যায় এবং সাড়ে ১৬ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলেন। ভাগ্যিস সাত সকালে উজ্জলের বিকাশ সিমে ওই পরিমাণ টাকা ছিলো না। তারপরও তানিয়া বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্ন তুললে বিকাশ করার আগে তানিয়ার কাছে টাকা চাই উজ্জ্বল। তানিয়া টাকা দিয়ে ব্যার্থ হয়ে অপর বিকাশ এজেন্ট জামাল হোসেনের নিকট যায়। সেখানেও দোকানি আগে টাকা চাইলে তানিয়া টাকা দিতে ব্যার্থ হয়। শেষমেষ আহম্মদ আলীর কাছে এসে প্রতারকের বিকাশ নাম্বারে টাকা দিয়ে বসে তানিয়া। বিকাশ এজেন্ট উজ্জল হোসেন বলেন, তানিয়া প্রথমে আমার কাছে আসে। আমি টাকা না পাঠালে জামাল হোসেনের নিকট যায়। এখন শুনতে পাচ্ছি আহম্মদ আলীর কাছ থেকে সেই টাকা পাঠিয়েছে। বিকাশ এজেন্ট আহম্মদ আলী বলেন, তানিয়ার কথামতো তার দেয়া নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দেয়। পাঠানোর পর টাকা চাইলে সে বলে এখনই আমার উপবৃত্তির টাকা চলে আসবে সেখান থেকে আপনার টাকা দিয়ে দেব। তবে তানিয়ার পিতা শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমার মেয়ে ওই নাম্বারে ম্যাসেজ দিতে বলেছে। আহম্মদ আলী না বুঝে টাকা বিকাশ করে দিয়েছে। যেহেতু একটি ঘটনা ঘটে গেছে একটি সমাধন তো করতে হবে। এদিকে প্রলোভনে পড়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হওয়ায় নানাভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত থাকলেও প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে অনেকেই। সচেতন মহল মনে করছেন শটকাটে কিছু পাওয়া মানেই প্রতরণা। সময় থাকতে সকলেরই সাবধান হওয়া উচিত।

Comments (0)
Add Comment