ছাগলের জরিমানা করা সেই ইউএনও’র বদলি

ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে আলোচনায় আসা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা শারমিনকে বদলি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার জেলা প্রশসাক জিয়াউল হক মোবাইলে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফুলগাছ খাওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মে ইউএনও একটি ছাগল মালিকের ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করার ৯ দিন পর মালিক সাহারা বেগমকে না জানিয়ে সেটি বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। ২৬ মে কালের কণ্ঠে ‘ফুলগাছ খাওয়ায় ছাগল মালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করলেন ইউএনও!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসলে গত ২৭ মে জরিমানার টাকা ইউএনও নিজে ফেরত দিয়ে ছাগল সাহারা বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেন। এরপর এরপর ইউএনও বলেছিলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, স্থানীয় সাংবাদিকদের ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা আমি দিয়েছি। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেয়ার জন্য নয়।’ আর সেই নারী ছাগল বিক্রি করে দেয়ার যে অভিযোগ করেছেন, সেটি সত্য নয় বলে দাবি করেন ইউএনও। বলেন, ছাগলটি একজনের জিম্মায় দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনার দেশজুড়ে তোলপার হওয়ার পর তার বদলির আদেশ বগুড়ায় এসে পৌঁছেছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক মোবাইলে বলেন, ‘ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় ঠিক নয়। ওই ইউএনও বদলি হয়েছেন। তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার এসেছে। এটা নিয়মিত বদলি বলা যায়।’

 

Comments (1)
Add Comment
  • সাকলায়েন

    তাকে পিওয়ের চাকুরি দেওয়া হোক