জীবননগর রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধ করবে কে?

জীবননগর ব্যুরো/হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলার রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বকেয়া বিদ্যুত বিল নিয়ে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন নাহার গত জুন পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা বকেয়া বিল রেখে অবসরে চলে যান। এ বিদ্যুত বিল পরিশোধের জন্য তিনি স্কুল ফান্ড থেকে ওই সময় টাকা উত্তোলন করে তা পকেটস্থ করেন মর্মে একটি সূত্রে জানা গেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুত বিলের দায়িত্ব নিতে নারাজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ অবস্থায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জীবননগর কার্যালয় হতে বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধের তাগিদপত্র দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধ করবেন কে? নাহার মাস্টার না স্কুল।

জীবননগর পল্লী বিদ্যুত অফিসের একটি সূত্র জানায়, রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গত বছরের জানুয়ারি হতে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১০ হাজার ১৯৫ টাকা বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। স্কুলের একটি সূত্র জানায়, ওই সময়ে স্কুলের দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন নাহার। বিদ্যুত বিল পরিশোধের জন্য তিনি স্কুলের ফান্ড হতে টাকা নিলেও বিল পরিশোধ না করে ওই টাকা তিনি পকেটস্থ করেছেন। এ অবস্থায় বকেয়া বিদ্যুত বিল পরিশোধের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই বিদ্যুত বিল এখন পর্যন্ত পরিশোধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শুরু হয়েছে রশি টানাটানি।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহারেফ হোসেন জানান, আমি জুন মাস থেকে দায়িত্ব নিয়েছি। এর পূর্বের বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। ওই বিলের কী অবস্থা তা স্কুলের গিয়ে দেখতে পারবো। কথা বলবো সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে। তিনি বলেন, আমিতো তার বকেয়া রেখে যাওয়া বিল পরিশোধ করতে পারি না। কারণ স্কুল ফান্ডে অর্থ নেই। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন নাহার বলেন, এটাও আমার বিরুদ্ধে আরেক ষড়যন্ত্র। আমি কোনোদিন বিদ্যুত বিল পরিশোধ করিনি। যা করার সব দপ্তরি শাহাবুদ্দিন করে থাকেন। বিলের অর্থ নিয়ে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে সেটা দপ্তরি বলতে পারবে। আমি না। এছাড়াও আমার অবসর দেয়ার প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিলো না। তিনি আরো বলেন, আমি আদালতে মামলা করেছি। খুব শিগগিরই রেজাল্ট নিয়ে আমি আবার দায়িত্ব পাবো।

Comments (0)
Add Comment